শেষ দিকে এই পরিণতি থেকেই দুই নারী বুঝতে পেরেছে পুরুষ শাসিত সমাজে তাদের নিজস্ব অবস্থান। পুরুষদের বিভ্রান্ত করে প্রতিশোধও নিতে পেরেছে। যা দুটি নারীর মধ্যে আর সীমাবদ্ধ না থেকে হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক।
এই নাটকে একাধিক পায়ু-সঙ্গমের যে সব সাহসী দৃশ্য কিংবা নগ্ন নাচের যে সব প্রেক্ষিত রচনা করা হয়েছে তা বাংলা থিয়েটারে সাহসী পদক্ষেপ। আশিস চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় এটি প্রথম মঞ্চস্থ হচ্ছে কাল অ্যাকাডেমিতে।
|
জন্মের তিনশো বছর পেরিয়ে গেলেন ভারতচন্দ্র (১৭১২-১৭৬০)। আঠারো শতক থেকে আজ অবধি বিদ্যাসুন্দরের প্রেক্ষিত বদল হলেও সংস্কৃতিতে তাঁর স্থান অমলিন। কখনও ধর্ম চেতনা কখনও ‘বাবু-কালচার’ আবার কখনও বা ‘পপুলিস্ট লিটারেচারের’ অনুষঙ্গ হয়েছে বিদ্যাসুন্দর। যাত্রা থিয়েটার সিনেমা এমনকী ‘নভেল’ সাহিত্য হয়েছে সে আখ্যান। তিন শতকের সেই বিস্তার ঘিরে পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের মঞ্চ মাতালেন শিল্পী দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সমাজ দর্পণে বিদ্যাসুন্দরের গানে’। ভারতচন্দ্রের গান ‘গুণসাগর নাগর রায়’ গীত হয়েছিল লেবেদেফের নাটক ‘কাল্পনিক সংবদলে’ যা ভারতীয় মঞ্চের প্রথম থিয়েটারি প্রযোজনা। পরজের রাগবিস্তারে দেবজিৎ শোনালেন সে গান। শোনালেন রামপ্রসাদী-বিদ্যাসুন্দরের গান ‘কী মনোহর’। উনিশ শতকের পর্বে শোনা গেল বিদ্যাসুন্দর প্রযোজনার গান ‘কি বলিলি মালিনী’। শোনা গেল মধুসূদন দত্তের পছন্দের বিদ্যাসুন্দরী গান ‘কারে করলো সখী’, ‘হুতুম প্যাঁচার নকশায়’ উল্লিখিত গোপাল উড়িয়ার বিদ্যাসুন্দর যাত্রার ‘মদন আগুন জ্বলছে দ্বিগুণ’। পাশাপাশি ভিন্ন পালাকারদের বিদ্যাসুন্দর যাত্রার গান ‘আমি আর যাব না’, ‘কি শুনাব রূপের কথা’। শোনালেন ভারতচন্দ্রের অনুসারী নানা বিদ্যাসুন্দরের গানে কেমন করে আশ্রয় নিয়েছিল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সঙ্গীত সৃজন। দেবজিতের কণ্ঠে ‘কাঁটাবনে তুলতে গেলাম’-এ মিলল বঙ্কিম সৃষ্টি। ইতি টানলেন সবাক চলচ্চিত্রের ‘বিদ্যাসুন্দরে’। রচনা হেমেন্দ্রকুমার রায়ের, সংযোজন কৃষ্ণচন্দ্র দে-র। |