উত্তর কলকাতা
শিক্ষা উল্টোডাঙার
সেতু-সংস্কার
ল্টোডাঙার উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে টনক নড়ল প্রশাসনের। অরবিন্দ সেতু মেরামতে উদ্যোগী হল কলকাতা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি)। এ ব্যাপারে কেআইটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন, টেকনোলজি ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাহায্য নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সেতুর কাঠামো বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার পরেই কেআইটি কাজ শুরু করবে। এর আগে ঢাকুরিয়া সেতুর মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে।
খন্না বাসস্টপ থেকে উল্টোডাঙার যোগসূত্র এই সেতুটি ১৯৭৪-এ তৈরি করে কেআইটি। কেআইটি সূত্রে খবর, তৈরির পরে এই সেতুতে কখনও কোনও বড় মেরামতি হয়নি। ভাঙা রেলিং সারানো বা রং করা হলেও সেতুর থাম বা ‘জয়েন্ট’-এর মেরামতি হয়নি।
কেআইটি-র এক আধিকারিক জানান, এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কোনও অর্থও বরাদ্দ ছিল না। তাই বড় কোনও সংস্কারে হাত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কেআইটি-র বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওএসডি) লিয়াকত আলি বলেন, “কিছু কাজ কেআইটি করলেও সেতুটির কাঠামো সংস্কারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।”
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভাও শহরের বেশ কিছু সেতু পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, অরবিন্দ সেতু সংস্কারের ব্যাপারে কেআইটি কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।
কিছু দিন আগে এই সেতুর পিচ উঠে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যায় পড়তেন নিত্যযাত্রীরা। এর পরেই পুর-কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়ে রাস্তা মেরামতি করেন। গৌরীবাড়ির বাসিন্দা জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই সেতুর যা অবস্থা ছিল তাতে অটোয় উঠতেই ভয় হত। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। এখন অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভাল। তবে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের কিছু সমস্যা রয়েছে।”
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (সড়ক) সুশান্তকুমার ঘোষ বলেন, “শহরের যে কোনও সেতুর ওপর ম্যাস্টিকের কাজ পুরসভাই করে। এই সেতুর রাস্তা খারাপ হয়েছিল। কয়েক মাস আগেই রাস্তা ম্যাস্টিক করা হয়েছে। এখন রাস্তার অবস্থা ভাল।”

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.