টুকরো খবর |
অ্যাথলেটিক্সে কৃতী-সংবর্ধনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্য অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে যারা পদক পেয়েছে, তাদের সংবর্ধনা দিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এই উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় সাঁতারু শান্ত কর্মকার, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির কনভেনর জগবন্ধু অধিকারী, সদস্য বিদ্যুৎ বসু প্রমুখ। সম্প্রতি, কলকাতার সাইতে অনুষ্ঠিত হয় ৬৩তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (সিনিয়র এবং জুনিয়র)। প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৩২ জনের একটি দল কলকাতায় গিয়েছিল। রাজ্য অ্যাথলেটিক্সে সব মিলিয়ে ১০টি পদক পায় পশ্চিম মেদিনীপুর। এর মধ্যে ৫টি সোনা, ৩টি রুপো, ২টি ব্রোঞ্চ। অনুর্ধ্ব ১৪ বিভাগের হাই জাম্পে সোনা পেয়েছে রূপসী খাতুন। ট্রায়াথোলানে তার প্রাপ্তি ব্রোঞ্চ। অনুর্ধ্ব ২০ বিভাগের জাভেলিন থ্রো এবং ৪০০ মিটার দৌড়ে সোনা পেয়েছে আভা খাটুয়া। অনুর্ধ্ব ২০ বিভাগের ৫ হাজার এবং ১০ হাজার মিটার দৌড়ে সোনা পেয়েছে সৌম্যদীপ মণ্ডল। চম্পা বেরা জাভলিন থ্রোতে ব্রোঞ্চ, তুষ্ট মাহাতো ৬০০ মিটার দৌড়ে রুপো, বিশ্বজিৎ দাস হাই জাম্পে রুপো এবং বিরেশ্বর সাহা শটপুটে রুপো পেয়েছে। খুদে অ্যাথলিটদের সাফল্যে খুশি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সকলেই। পদক জয়ী অ্যাথলিটদের উৎসাহিত করতেই শুক্রবারের এই অনুষ্ঠান বলে জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাথলেটিক্স সাব কমিটির কনভেনর স্বদেশরঞ্জন পান। তিনি বলছিলেন, “হাল ছেড়ে দিলে হবে না। সাফল্যকে পাখির চোখ করে এগোতে হবে। আমরা নিশ্চিত, খুদে অ্যাথলিটরা ভাল প্রশিক্ষণ পেলে আগামী দিনে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় আরও ভাল পারফরম্যান্স করবে।”
|
ভারতগৌরব অরুণ, বর্ষসেরা সৌমিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভারতগৌরব পুরস্কারে তাঁকে সম্মানিত করা হবে শুনেই অরুণ ঘোষের স্মৃতির ভিড়ে যাঁর ছবি সবার আগে ভেসে উঠল, তিনি ইস্টবেঙ্গল পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম সদস্য বেঙ্কটেশ। যাঁর খেলা দেখার জন্য পুলিশের লাঠিও সহ্য করেছেন অরুণবাবু। শুক্রবার সোনালি দিনগুলো স্মরণ করতে বসে সত্তরোর্ধ্ব অরুণবাবু বললেন, “এত নামী ফুটবলারের ভিড়ে ইস্টবেঙ্গল যে আমার কথা ভেবেছে, সেটাই বড় পাওনা। বেঙ্কটেশের কথা খুব মনে পড়ছে। বেঁচে থাকলে তিনিও এই সম্মান পেতেন।” অরুণবাবু-কে দু’লক্ষ টাকা ও স্মারক দেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গলের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন সৌমিক দে। গত তিন বছর ধরে লাল-হলুদ রক্ষণের অন্যতম ভরসা। সৌমিক বলছেন, “এই পুরস্কার আমাকে আরও দশ বছর খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করল।” সারা জীবনের স্বীকৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন সমরেশ চৌধুরী ও অবনী বসু। পল্টু দাস মেমোরিয়াল ট্রফির জন্য প্রয়াত অশোকলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। সেরা সাংবাদিক জয়ন্ত চক্রবর্তী ও চিত্র সাংবাদিক মনোজিৎ চন্দ। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব ও কলকাতা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা। প্রাক্তনদের পাশে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য ইস্টবেঙ্গলে নতুন নয়। শুক্রবার সেই প্রথা মেনেই দীপঙ্কর দে-র ইস্টবেঙ্গলে খেলে অবসর নেওয়ার আবেদনে শিলমোহর দিলেন কর্তারা। তুলুঙ্গাও নতুন মরসুমের দলে থাকবেন। অধিনায়ক মেহতাব হোসেন।
|
পদকের দিকে সুস্মিতা |
পুণেতে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স মিটে পদকের দিকে এগোচ্ছেন সুস্মিতা সিংহ রায়। হেপ্টাথলনের সাতটি ইভেন্টের চারটির শেষে কুন্তল রায়ের ছাত্রী আপাতত ৩২৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে গত বারের সোনাজয়ী তাইল্যান্ডের ওয়াসানা। এ দিন পুণে থেকে ফোনে সুস্মিতার কোচ কুন্তল বাবু বললেন, “হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। তবে আমি আশাবাদী।” এর আগে দু’বার এই মিটে পদক পেয়েছেন সুস্মিতা। মেয়েদের চারশো মিটার রিলেতে দলে আছেন বাংলার আশা রায়। মিটের তৃতীয় দিনে পুরুষদের চারশো মিটার হার্ডলসে ব্যাটন বদল করতে গিয়ে সোনা হাতছাড়া হল ভারতের। দু’টি রুপো, দু’টি ব্রোঞ্জ এল এ দিন। মেয়েদের তিন হাজার মিটার ট্রিপলচেজে রুপো জিতলেন সুধা সিংহ। লং জাম্পে প্রেমকুমারও রুপো জিতলেন। জ্যাভলিন থ্রো এবং একশো মিটার হার্ডলসে ব্রোঞ্জ জিতলেন যথাক্রমে সমরজিৎ এবং হেমশ্রী।
|
আবেগের নাম মোহনবাগান |
কয়েক বছর আগে ক্লাবের আর্থিক সঙ্কটে হোসে ব্যারেটোকে টিমে ধরে রাখার জন্য একবার নিজের বাড়ির দলিল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এক মোহনবাগান সদস্য। আর এ বার টাকার জন্য টিম করতে প্রিয় ক্লাব সমস্যায় পড়েছে শুনে নিজের পুরো এক মাসের মাইনেই ক্লাবের অ্যাকাউন্টে জমা করে দিলেন বাগান সদস্য এক সেনা মেজর। নাম অভিষেক মুখোপাধ্যায়। জম্মু কাশ্মীরে আপাতত কর্মরত অভিষেকবাবু পাহাড়ে গিয়েও ভোলেননি প্রিয় ক্লাবকে। নিজের জুন মাসের মাইনে আটাত্তর হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “আমাদের ক্লাবের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সদস্যদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলাম। অভিষেকবাবুর দান তারই ফল। আরও টাকা এসেছে। সেটা ১৫ জুলাই কর্মসমিতির সভায় জানাব।”
|
আইপিএলের কোচ হতে নাকি আগ্রহী মর্গ্যান |
সদ্য প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান ফিরতে পারেন প্রস্তাবিত আইএমজি রিল্যায়ান্সের ফুটবল আইপিএলের কোনও দলের কোচ হয়ে। মর্গ্যান নাকি আইপিএল তিন মাস হবে বলে কোচিং করতে ইচ্ছুক। সংবাদসংস্থা আরও জানাচ্ছে, তিন মাসের জন্য পরিবার ছেড়ে ভারতে আসতে মর্গ্যানের নাকি আপত্তি নেই। তবে মর্গ্যান শেষ পর্যন্ত এ দেশে কোচিং করতে পারবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “মর্গ্যান এক বছর ভারতে কোচিং করাতে পারবেন না। সে ভাবেই ওকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে।” আই পি এল শুরু সামনের বছর জানুয়ারিতে।
|
রুনি ম্যাঞ্চেস্টারেই: মোয়েস |
তাঁকে ঘিরে যাবতীয় জল্পনা শেষ করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ জানিয়ে দিলেন, ওয়েন রুনিকে বিক্রি করা হবে না। নতুন দায়িত্বে আসার পরে তাঁর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে ডেভিড মোয়েস এ দিন বলেন, “রুনিকে বিক্রি করব না। ও ম্যাঞ্চেস্টারের প্লেয়ার, ম্যাঞ্চেস্টারেই থাকবে।” যদিও মোয়েস পরিষ্কার করে বলেননি যে রুনি নিজের ইচ্ছেয় ম্যাঞ্চেস্টারে থাকছেন কি না।
|
অঙ্কিতা, মৌমার হার |
এশিয়ান টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় মেয়েদের চ্যালেঞ্জ শেষ। অঙ্কিতা দাস প্রিকোয়ার্টারে ০-৪ হারেন চিনা প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে। জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কে শামিনি আর বাংলার আর এক প্লেয়ার মৌমা দাস ছিটকে যান তৃতীয় রাউন্ডে।
|
প্রধান অতিথি বেঙ্কট বা চন্দ্র |
সিএবি-র বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকতে চলেছেন বেঙ্কটরাঘবন বা ভগবত চন্দ্রশেখরের মধ্যে কেউ এক জন। বেঙ্কটরাঘবন যদি সেই সময় ভারতে থাকেন, তা হলে তিনিই প্রধান অতিথি হিসেবে আসবেন। নইলে চন্দ্রশেখরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বার্ষিক অনুষ্ঠান আগামী ২০ জুলাই।
|
সহজ জয় অনির্বাণের |
বেঙ্গালুরুর ইগলবার্গ ওপেন জিতলেন অনির্বাণ লাহিড়ী। ভারতীয় ট্যুরের এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে দুর্দান্ত ৬২ ও ৬৪ স্কোর করে এ দিন শেষ রাউন্ডে কিছুটা ছন্দ হারালেও বেঙ্গালুরুর ছেলের জন্য নিজের ঘরের কোর্সে পুরো পাঁচ শটের ব্যবধানে খেতাব জেতা কঠিন হয়নি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন বেঙ্গালুরুরর আর এক গল্ফার চিক্কারাঙ্গাপ্পা এস। ট্রফি জিতে এ দিন অনির্বাণ বলেছেন, “যে কোর্সে খেলে বড় হয়েছি, সেখানে জিতে দারুণ লাগছে। কী আনন্দ হচ্ছে, বলে বোঝাতে পারব না।” এ দিনের ৬৯-সহ অনির্বাণের মোট স্কোর দাঁড়ায় ২০-আন্ডার ২৬৮।
|
এয়ারলাইন্স কাপ শুরু মঙ্গলবার |
এ বারের এয়ারলাইন্স কাপে তিন প্রধান নেই। মাঠ সমস্যার জন্য গোটা টুর্নামেন্ট-ই হবে কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামে। ৯-১৬ জুলাই পর্যন্ত। গতবারের দুই সেমিফাইনালিস্ট ভবানীপুর ও কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ খেলবে সেমিফাইনাল থেকে। চ্যাম্পিয়ন-রানার্সের জন্য পুরস্কার অর্থ না থাকলেও, ম্যাচপ্রতি আর্থিক পুরস্কার থাকবে। |
|