|
|
|
|
গ্রেফতার সিপিএমের ১০ |
তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ পিংলায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়াল পিংলার বেশ কিছু এলাকায়। মোহনপুর, বাড়পলাশপুর, মণ্ডলবাড়, ব্রাক্ষ্মণবাড় প্রভৃতি এলাকায় সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, গোলমালে জড়িতদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “পিংলায় গোলমালের একটা ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় নজরদারি চলছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।”
আগামী ১১ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চলছে। সবপক্ষই প্রচার কর্মসূচিতে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে পিংলায় তৃণমূলের এক মিছিল বেরোয়। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনেই এই মিছিল। মিছিল হওয়ার কথা ছিল ফতেপুর থেকে মণ্ডলবাড় পর্যন্ত।
ফতেপুরে মিছিল শুরু হওয়ার কিছু পর থেকেই অশান্তি ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করে বাড়পলাশপুরে পৌঁছলে সিপিএমের লোকজন মিছিলে হামলা করে। এরপরই অশান্তি ছড়ায়। দলের জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির কথায়, “আচমকাই মিছিলের উপর তির-ধনুক নিয়ে আক্রমণ চলে। বোমাও ছোড়া হয়।”
অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের বক্তব্য, পুলিশের সহায়তায় এ দিন গ্রাম দখল অভিযান শুরু করে তৃণমূলের লোকেরা। এর জন্য বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছিল। তৃণমূলের লোকেরাই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করে। বাড়ি ভাঙচুর করে। বোমাও ছোড়ে।
দলের জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী তথা জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের কথায়, “পরিকল্পনা করেই গ্রাম দখল অভিযান শুরু হয়েছিল। আমাদের কর্মীরা আক্রমণ করবে কী ভাবে? সর্বত্র এখন বাম কর্মী-সমর্থকদের উপরই আক্রমণ চলছে। শুরুতে কয়েকজন মহিলা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন মাত্র। তাঁদের মারধর করা হয়। যাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হল, মারধর করা হল, পুলিশ তাঁদেরই গ্রেফতার করল। পুলিশ দলতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা পুরো বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছি।”
|
|
|
|
|
|