‘বিজ্ঞানসাধক রবীন্দ্রনাথের খোঁজে’ (২০-৬) কলকাতায় কেন্দ্র স্থাপনের সংবাদে যুগপৎ আনন্দিত ও বিভ্রান্ত হয়েছি।
বিভ্রান্তির কারণটাই অধিক আলোচ্য। রবীন্দ্রনাথ স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি বিজ্ঞানসাধক ছিলেন না। কিন্তু বিজ্ঞানের রস আস্বাদনে লোভ ছিল ছেলেবেলা থেকে। যা নেই তা খোঁজ করার চেষ্টা তো অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজার চেয়ে অধিক ভয়ঙ্কর।
আমাদের রবীন্দ্রপ্রীতি কখনও কখনও এমন রূপ ধারণ করে যা অন্ধতার পর্যায়ভুক্ত। রবীন্দ্রনাথকে বিজ্ঞানী বানাবার চেষ্টা করেছেন অনেক রবীন্দ্রপ্রেমী। আশার কথা, প্রস্তাবিত কেন্দ্র-স্থাপনার কাজে খ্যাতনামা চিন্তাবিদদের নাম জড়িত। তাঁরা সেটা হতে দেবেন না বলেই বিশ্বাস।
সুব্রত ঘোষ। কলকাতা-৬৮
|
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (‘উল্টো ভাষা, পাল্টা উচ্চারণ’, ২৪-৫) ধন্যবাদ একটি সুন্দর আলোচনার জন্য। আমার অভিজ্ঞতা লিখছি। এক দিন একটি ছেলেকে তার স্কুলের নাম জিজ্ঞাসা করতে বলল, ‘নাভা নালন্দা’। বললাম, ‘নাভা’ নয় ‘নব’। ছেলেটি বলল, ‘নাভা’।
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-৩৪
|
গৌতম চক্রবর্তী বলেছেন, তেনজিং তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, তাঁর কাবার্ডে থাকা গাঁধী টুপিটি তেনজিংকে নেহরু দেননি। বলেছিলেন, ‘এটা দেব না, এভারেস্ট বরং রাজনীতির বাইরেই থাকুক’। (‘নেহরু কেবল গাঁধী টুপিটি দেননি’, ২৯-৫)
এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে, পিটার হ্যানসেন তাঁর ‘দ্য সামিটস অব মডার্ন ম্যান’ (কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস) বইটিতে লিখেছেন, নেহরু তাঁর নিজস্ব সাদা কংগ্রেস টুপিটি তেনজিংকে দেননি। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে তেনজিংকে উপহার দেওয়া হয় রেডিও, গ্রামাফোন, বৈদ্যুতিক স্টোভ, হাতঘড়ি, সোনা, ১৮০ বর্গগজ জমি এবং একটি গাঁধী টুপি। তেনজিং পত্নী উপহার হিসেবে পান একটি সেলাইকল।
শান্তভানু সেন। শ্রীপল্লি, শান্তিনিকেতন |