২৮ জুনের নির্দেশই বহাল, রাজ্যে ভোট পাঁচ দফায় |
রমজান মাসে সংখ্যালঘুদের অসুবিধার কথা ভেবে ভোটের নির্ঘণ্ট বদলের আবেদন খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি পট্টনায়কের বেঞ্চে। আদালত জানিয়েছে, সংবিধানের উপর কিছু নয়। সংবিধান মতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পঞ্চায়েতে নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কাজেই গত শুক্রবার ভোটের যে নির্ঘণ্ট ঘোষিত হয়েছে তার কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। আজ আদালতে সংশোধনীর সমস্ত আর্জি খারিজ হওয়ায় ২৮ জুনের রায়ই বহাল থাকল। আর সেই হিসেবেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ১১, ১৫, ১৯, ২২ ও ২৫ জুলাই মোট পাঁচ দফায় হবে।
|
নারী শিক্ষার দুই মুখ এ বার একই দেশে |
দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ৯ অক্টোবর ২০১২। স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে একটি ট্রাকে করে বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে চাপাচাপি করে বাড়ি ফিরছিল মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানে সেটিই ছিল তাদের স্কুল গাড়ি। হঠাৎই সেই গাড়িতে উঠে পড়ে এক দল তালিবান দুষ্কৃতী। মালালাকে চিনতে পেরে গুলি ছোঁড়া হয়। মাথা, গলা ভেদ করে সেই গুলি আটকাল মালালার কাঁধে। শুধু মালালা নয়, গুলি লাগে আরও এক ছাত্রীর গলায় ও কাঁধে। তার নাম শাজিয়া রমজান। বন্ধু শাজিয়ার সঙ্গে অনেক দিন পর আজ দেখা হল মালালার। বার্মিংহাম বিমানবন্দরে। ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন-সহ ছাত্র-ভিসা নিয়ে আজই ব্রিটেনে এসেছে শাজিয়া। ১৫ বছরের শাজিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তানে থেকেই সে তার পড়াশোনাটা শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক হুমকির কারণে সেটা আর হয়ে উঠল না! তবে এখানে আসার সুযোগটাকে পুরো মাত্রাতে কাজে লাগিয়ে শাজিয়া ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশ্বব্যাপী শিক্ষা বিষয়ক বিভাগের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন এখন গর্ডন ব্রাউন। মালালা এবং শাজিয়া— দু’জনেই এখন ব্রিটেনের এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বাধীন। পাকিস্তানে কিছু দিন চিকিৎসার পর মালালাকে বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। সুস্থ হওয়ার পর এখন সে এখানকার স্কুলেই পড়ে। আজ শাজিয়াও ব্রিটেনে চলে আসায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বন্ধু মালালা। খুশি গর্ডন ব্রাউনও। তিনি জানিয়েছেন, শাজিয়া অত্যন্ত বুদ্ধিমান এক তরুণী। সে এখানে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারবে এটা ভেবেই তিনি আনন্দিত। ব্রাউন আরও বলেছেন, শাজিয়া তাঁকে কথা দিয়েছে, মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের দাবিতে সে আরও বেশি করে সোচ্চার হবে এ বার। আর শাজিয়া? মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি তার কাছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য এখন— ডাক্তার হয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া। প্রসঙ্গত নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে মালালা ইউসুফজাইয়ের নাম। ঘোষণা করা হয়েছে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দিনটি ‘মালালা দিবস’ হিসেবেও পালন করবে রাষ্ট্রপুঞ্জ। |