হিজাবে ঢাকা মুখ দু’টো বৃষ্টির জলে ঝলমল করে উঠল। খোলা আকাশের নীচে ওরা বৃষ্টিতে ভিজল, হাসল। বাড়ির সামনে নেচে গেয়ে লুটেপুটে নিল মুক্তির আনন্দ। দুর্লভ মুহূর্তগুলিকে ধরে রাখল ভিডিও করে।
পরিণতি মৃত্যু। বন্দুকের নল ঝাঁঝরা করে দিল নুর বসরা ও নুর শেজা নামে ওই দুই পাক কিশোরীর দেহ। রেহাই মিলল না মায়েরও।
পাকিস্তানের গিলগিটের চিলাস শহরের বাসিন্দা এই কিশোরীদের এক জনের বয়স ১৫, অন্য জনের ১৬। বসরা-শেজার মুক্তির আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছিল মোবাইলে। তাতেই কাল হল। এই স্পর্ধা মেনে নিতে পারেনি কট্টরপন্থী সমাজ। দুই মেয়ের স্বাধীনচেতা মনোভাব বিক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছিল শহরের আনাচে কানাচে। গত রবিবার বাড়িতে ঢুকে পড়ল পাঁচ বন্দুকবাজ। শাস্তি দিল মৃত্যুদণ্ড।
এরা অন্য মালালা। পরিণতি মালালার মতোই প্রায়। তবে তালিবান নয়, কট্টরপন্থী সমাজের তালিবানি ফতোয়া অগ্রাহ্য করাতেই দাদার বন্দুকের নলের সামনে পড়তে হল তাদের। তদন্ত চলছে। অভিযোগের আঙুল বসরা ও শেজার এক সৎ দাদার দিকে। অভিযোগ, পরিবারের সম্মান রক্ষায় সে-ই খুন করেছে দুই বোনকে।
গত বছর এমন ঘটনাই ঘটেছিল কোহিস্তানে। সেখানে একটি বিয়ের আসরে নাচার অপরাধে চার মহিলাকে খুন করেছিল গোষ্ঠীপ্রধানরা। |