পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার পরে রাতেই রাস্তায় সন্তান প্রসব করলেন এক প্রসূতি।
আসানসোলের ওই ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে তালা একটি ‘রিপ্রোডাক্টিভ চাইল্ড হেল্থ সেন্টার’-এ তালা লাগিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। বিকেলে আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় গেলে তাঁকেও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি পূর্ণ বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এক নার্সকে সাসপেন্ড করে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে। প্রসূতি ও সন্তান অবশ্য সুস্থ আছে। |
স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে আসানসোল পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার ওকে রোডের বাসিন্দা শাহিদা খাতুনকে রিপ্রোডাক্টিভ চাইল্ড হেল্থ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুরসভার তত্ত্বাবধানে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র চলে। আসানসোল পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার অজয়কুমার সেন জানান, এই ধরনের কেন্দ্রগুলিতে রাতে এক জন করে নার্স রাখা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, রাতের দিকে কোনও রোগী এলে প্রথমে তিনি নিজে দেখবেন। পরে রোগীর অবস্থা বুঝে প্রয়োজনে চিকিৎসককে খবর দেওয়ার কথা।
স্থানীয় বাসিন্দা তাভরেজ আলমের অভিযোগ, স্থানীয় ওকে রোড এলাকার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত নার্স তাঁকে ভর্তি না নিয়ে শনিবার সকালে নিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু শাহিদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ওই রাতেই আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রাস্তাতেই তাঁর প্রসব হয়ে যায়। কেন ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল, তার জবাব চেয়েই এ দিন বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। দুপুর ৩টে নাগাদ মেয়র গেলে বিক্ষোভকারীরা নিরস্ত হন।
পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার বলেন, “জানা গিয়েছে, শীলা দেবী নামে এক অ্যাটেন্ডিং নার্স ছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ ওই প্রসূতি এলে তাঁকে তিনি বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কোনও চিকিৎসককে খবরও দেননি। কেন তিনি খবর দিলেন না, তা আমাদের কাছেও প্রশ্ন। এ দিন সকালে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। প্রাথমিক তদন্ত করে ওই নার্সকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁকে ‘শো কজ’ও করা হয়েছে।” |