অভাবনীয়!
উইম্বলডনের গোটা সপ্তাহটাকে এই এক শব্দেই বুঝিয়ে দেওয়া যায়।
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে যে এতগুলো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও অঘটন ঘটে যাবে, তা সত্যিই ভাবা যায়?
এখনও ভাবতে কষ্ট হচ্ছে যে, ছেলদের গত বারের চ্যাম্পিয়ন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন এবং মেয়েদের গতবারের চ্যাম্পিয়নকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে পারত, এমন দু’জন এ বার শুরুতেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে।
কোনটা বেশি বড় অঘটন? রজার ফেডেরারের হার না রাফায়েল নাদালের, এই নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে বিতর্ক চললেও আমি কিন্তু বলব, ওদের হারের চেয়েও বড় অঘটন, ফিটনেসের দোহাই দিয়ে সাত জনের নাম তুলে নেওয়া। এমন একটা বেনজির ঘটনার ফলে যা হল, তাও নজিরবিহীন। উইম্বলডনের কোর্টের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। তবে ম্যাচ চলাকালীন একবারও মনে হয়নি কোর্টের ঘাস পিচ্ছিল বা খুব নরম। ভিক্টোরিয়া একবার কোর্টে পড়ে যাওয়ার পরই ওর আত্মবিশ্বাসের দফা রফা হয়ে গেল। সঙ্গার লড়াই ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা তো আমাকে খুবই হতাশ করেছে। এখানে এর আগে ও দুর্দান্ত খেলেছে। সেই ছেলেটা কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে গেল!
স্টাকোভস্কি সে দিন রজারের বিরুদ্ধে যে খেলাটা খেলল, তা এক কথায় অনবদ্য। যেমন নেটে অসাধারণ, তেমনই সার্ভিসের মিশেল তৈরিতেও দুর্দান্ত ও। রজারকে কখনও থিতু হতে দিল না। ওর দিনটাও সে দিন খুব খারাপ ছিল। ওর ফোরহ্যান্ডই ওকে শেষ করে দিল। বিশেষ করে ব্রেক পয়েন্টগুলোতে। তাই বলে স্টাকোভস্কির কৃতিত্বকে খাটো করছি না। ও যে সে দিন একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিল, তা ওর খেলা দেখেই বোঝা যায়। রজার ফেডেরারকে যে ভাল সার্ভ অ্যান্ড ভলি গেমে কাত করা যায়, সেটাও প্রমাণ হল।
নাদালের কাছে ঘাসের কোর্ট বরাবরই অপছন্দের। পাঁচ বছর আগে ওর হাঁটুর যে অবস্থা ছিল, এখন আর তা নেই। তাতে ওর ঘাসের কোর্টে খেলার অসুবিধাটা আরও বেড়ে গিয়েছে। সে দিন হারার পর ও যেটা বলেছে, তার সঙ্গে আমি একমত, ওর শরীর বেশি খেলার ধকল নিতে পারছে কিনা, তা ওকেই এখন দেখতে হবে। |