|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
গবেষণায় নিরপেক্ষ মন কই |
বইপোকা |
বড়া গুণী আদমী, গানহী বাওয়া। এই বার তিনি আসিলেন বাংলা সাহিত্যের অ্যাকাডেমিক গবেষণার আঙিনায়। ইতোপূর্বে বঙ্গসাহিত্যে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রভাব লইয়া বিক্ষিপ্ত রচনাদি হইয়াছে। কিন্তু উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ও কবিতায় গাঁধীর উপস্থিতি ও প্রভাব লইয়া কোনও পদ্ধতিমূলক গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়া স্মরণে আসিতেছে না। সেই প্রেক্ষিতে অনীককুমার সাহার বাংলা সাহিত্যে গান্ধীজি (সপ্তর্ষি প্রকাশন) নূতন। সাতটি অধ্যায়ে এই গ্রন্থে গাঁধীর জীবন ও দর্শন, কথাসাহিত্য, নাটক ও কবিতায় গাঁধীকে লইয়া চিরুনি-তল্লাশি করা হইয়াছে। স্বভাবত রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থের মুখ্য অংশ জুড়িয়া আছেন। উপস্থিত সতীনাথ ভাদুড়ীও, ঢোঁড়াই চরিত মানস উপন্যাসে যিনি এক নূতন গাঁধীর জন্ম দিয়াছিলেন, গান্হী বাওয়া নাম যাঁর। কিন্তু এই চিরুনি-তল্লাশির সহিত গবেষকের নিরপেক্ষ মনটি যুক্ত হইলে ভাল হইত। এবং কয়েকটি নিরর্থক, ক্লান্তিকর বাক্য সম্পাদনায় বাদ পড়িলে গ্রন্থটি সুখপাঠ্য হইত। যেমন, ‘রবীন্দ্রনাথ প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও— রাজনীতি সচেতন ছিলেন’। আবার, কেবল ‘গান্ধী’ লিখিলে কি মোহনদাসকে অপমান করা হইত? ‘জি’ সম্বোধনটি আপামর ভারত তাঁহার পদবির সহিত জুড়িয়া দিয়াছে সত্য, কিন্তু বাংলা সাহিত্যের সর্বত্র ত ওই দৃষ্টি নাই! পরিশেষে একটি তথ্যগত ভ্রান্তি উল্লেখ করি। তলস্তয়ের গ্রন্থটির নাম ‘কিংডম অব গড ইজ উইদিন ইউ’ নহে, দ্য কিংডম অব গড ইজ উইদিন ইউ। বস্তুত গবেষণামূলক গ্রন্থে ইহার সহিত লেখা উচিত উপনামটিও: ‘অর, ক্রিশ্চিয়ানিটি নট অ্যাজ আ মিস্টিকাল ডকট্রিন, বাট অ্যাজ আ নিউ লাইফ-কনসেপশন’। |
|
|
|
|
|