একটি শিশুর মা ভেসে গিয়েছিল বন্যায়। অন্য জনের চোখের সামনেই শিকারিরা তার মাকে গুলি করে হত্যা করে কেটে নিয়েছিল খড়্গ। রাজ্যের দুই প্রান্তে থাকা এই দুই গন্ডার শাবককে একসঙ্গে, অরণ্যের পরিবেশে বড় করে তোলার উদ্দেশে আজ কাজিরাঙার পূরবীকে, মানসের দৈমালুর কাছে নিয়ে আসা হল।
মানসে প্রতিস্থাপনের জন্য আনা ২০টি গন্ডারের মধ্যে তিনটি শিকারির হাতে প্রাণ দিয়েছে। এদের এক জনের বাচ্চা হয় এ বছর এপ্রিলে। বাচ্চা হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শিকারিরা মা গন্ডারটিকে হত্যা করে। |
গন্ডার শাবক পূরবী। ছবি: ডব্লিউটিআই |
মা-হারা মাস তিনেকের শাবকটিকে আপাতত বাঁশবাড়িতে রেখে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার চিকিত্সক ও কর্মীরা লালন-পালন করছেন। ডব্লিউটিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর রথীন বর্মণ বলেন, “মায়ের কাছ থেকেই গন্ডার শাবকরা বেঁচে থাকার শিক্ষা পায়। কিন্তু একা বড় হলে অনেক সময়ই তাদের উপরে বেশি চাপ পড়ে। সেই জন্যই আরও একটি শাবককে মা হারা ‘দৈমালু’র সঙ্গে রাখার কথা ভাবা হয়।”
কাজিরাঙার ফিল্ড অধিকর্তা ও মুখ্য বনপাল এন কে ভাসু বলেন, “বিভিন্ন সময়ে অনাথ হওয়া গন্ডার শাবকদের কাজিরাঙা পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিডব্লিউআরসি) রাখা হয়। লক্ষ্য থাকে, দ্রুত তাদের অরণ্য জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া। গত বছর বন্যার সময় পূরবী নামের শাবকটিকে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার করে সিডব্লিউআরসিতে নিয়ে আসে। কিন্তু একা বড় করার চেয়ে, অন্য এক শাবকের সঙ্গে বেড়ে উঠলে তাতে দু’জনের পক্ষেই ভাল হবে।”
মানসের ফিল্ড অধিকর্তা তথা মুখ্য বনপাল অনিন্দ্য স্বরগোয়ারি জানান, মানসের বাঁশবাড়ি রেঞ্জের একটি বোমায় (বিশেষ ভাবে তৈরি অরণ্যের একটি ঘেরা, নিরাপদ অংশ) শাবক দু’টিকে আরও বছর দুয়েক রেখে, তারপর তাদের পুরোপুরি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। |