ক্যানসার সচেতনতা নিয়ে একটি আলোচনা হয়ে গেল আসানসোলের বিবি কলেজে। বৃহস্পতিবারের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বিকাশকুমার অগ্রবাল। যোগ দিয়েছিল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও। বিকাশবাবু জানান, মুখের ক্যানসার সাধারণত তামাকজাত নেশার দ্রব্য থেকে হয়। এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তর থেকেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর শুরু। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের প্রতি চারজন পড়ুয়ার মধ্যে একজন এই নেশায় আসক্ত বলেও তাঁর দাবি। তাঁর মতে, ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে পারলে এই রোগ অনেকটাই আটকানো সম্ভব। প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরণের আলোচনা চক্র হওয়া উচিত বলে মনে করেন কলেজের টিচার ইন চার্জ অমলেশ চট্টোপাধ্যায়।
|
কাঁথি মহকুমা ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তশূন্যতা কাটাতে এগিয়ে এলেন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরাই। বুধবার ২৬ জুন আনন্দবাজার পত্রিকায় কাঁথি মহকুমা ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সঙ্কটের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ব্লাড ব্যাঙ্ক ও মহকুমা হাসপাতালের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বৃহস্পতিবার রক্তদানে এগিয়ে আসেন। মেদিনীপুর ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সম্পাদক জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় মেদিনীপুর থেকে এসে রক্তদান করেন। এছাড়াও স্থানীয় কিছু বাসিন্দা রক্ত দেন। কাঁথি মহকুমা ব্লাড ব্যাঙ্কে আয়োজিত এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মহকুমা হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী। ছিলেন কাঁথি থানার আইসি সোমনাথ দত্ত।
|
বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে একটি আলোচনাসভা হয়ে গেল বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। আয়োজন করেছিলেন ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
|
একাধিক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় ব্যথা কমানোর ওষুধ অ্যানালজিন এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ পিওগ্লিটাজোন নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা জানান, ব্লাডার ক্যানসারের আশঙ্কা থাকায় পিওগ্লিটাজোন এবং রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অ্যানালজিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমেরিকায় অ্যানালজিন নিষিদ্ধ হয়েছে ৩৬ বছর আগেই। ফ্রান্স ২০১১ সালে নিষিদ্ধ করেছিল পিওগ্লিটাজোন। দু’টি ওষুধের ক্ষেত্রেই পৃথক সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পিওগ্লিটাজোন খুবই পরিচিত ওষুধ। বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ৩০টি ব্র্যান্ড-নামে এই ওষুধ বিক্রি হয়। এন্ডোক্রিনোলজিস্ট সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কিছু দিন আগে একটি সমীক্ষায় জানা যায়, ওষুধটি হৃদ্যন্ত্রের পক্ষে উপকারী। কিন্তু এ বার এর অন্য ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে। এর বিকল্পের কথা ভাবতে হবে।” প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে ওষুধ সংস্থাগুলির তরফেও। ইন্ডিয়ান ফার্মা অ্যালায়েন্সের দাবি, ভারতীয় রোগীদের উপরে এই ওষুধের ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রমাণিত নয়। তাদের আশঙ্কা, সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ব্যবসা মার খাবে। |