সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপের এলাকায় সভা করে তাঁর স্ত্রী-র ভোট চাইলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বরাবাজারে সভা করতে এসে শুভেন্দুবাবু দাবি করেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের জন্য উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। তাই মণীন্দ্রবাবুর স্ত্রী-র কাছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্যের পরে সভাস্থলে প্রবল হাততালি। শুভেন্দুর মন্তব্য শুনে সিপিএমের পুরুলিয়ার জেলা সম্পাদক মণীন্দ্রবাবুর পাল্টা প্রতিক্রিয়া, “সাহস থাকলে উনি আমার স্ত্রী-র কাছে গিয়ে ভোট চান। তাঁকে উচিত জবাব দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রী প্রস্তুত।”
দুই নেতার কাজিয়া ঘিরে এ দিন বরাবাজারের বিকেল সরগরম হয়ে থাকল। বরাবাজারে মাওবাদী নাশকতার বড় নজির খুব একটা না থাকলেও, মণীন্দ্রবাবু মাওবাদীদের নিশানায় ছিলেন বলে বার বার গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু প্রভাব কমেনি ওই বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার। একের পর এক মাওবাদী হামলার পরেও মণীন্দ্রবাবু গ্রামে গ্রামে দলের কাজ করেছেন। বিধানসভা ভোটের পরে নকুল মাহাতো জেলা সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। সেই জায়গায় দল মণীন্দ্রবাবুকে বসান।
এ দিন সভায় শুভেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, মণীন্দ্রবাবুর নেতৃত্বে তাঁর দলের দুষ্কৃতী ও মাওবাদীদের যৌথ হামলায় তৃণমূলের বহু কর্মী খুন হয়েছেন। মণীন্দ্রবাবু অবশ্য বলেন, “মাওবাদী নেতা কিষেনজি তৃণমূল নেত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে দেখতে চেয়েছিলেন। এর পরে কাদের সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ ছিল তা কাউকে বোঝাতে হবে না।” এ দিকে বরাবাজার ডাকবাংলো মোড়ে সভাস্থলের পাশেই বরাবাজার গালর্স হাইস্কুলে এ দিন পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষিকা কুন্তা লায়েকের দাবি, “এখানে সভা হবে শুনে স্কুলের অসুবিধার কথা স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জানিয়েছিলাম। ক্লাস নিতে অসুবিধা যে হয়েছে, তা লুকোবার নয়।” |