শিক্ষা দফতর এবং শিক্ষা সচিবকে অন্ধকারে রেখে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘অনৈতিক’ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তাদের অভিযোগ, গত ১৭ মে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই ওই প্রধান শিক্ষককে জেলা প্রশাসন গ্রেফতার করে।
ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বশিক্ষা মিশন, মিড-ডে মিলের টাকা তছরুপ ছাড়াও নিয়মবিরুদ্ধ ভাবে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস পিছু গড়ে ৪০ জন করে অতিরিক্ত ছাত্রছাত্রী ভর্তির অভিযোগ এনেছে প্রশাসন। সমিতির দাবি, এই সব অভিযোগ আনলেও, রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে কোনও কথা না জানিয়েই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। যা সরকারি মিয়ম বর্হিভূত। বর্তমানে তিনি অসুস্থ অবস্থায় জেল হেফাজতে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপেন ঘোষ বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা ওই প্রধান শিক্ষকের হয়ে কথা বলছি না। আমাদের দাবি, যদি তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেও থাকেন, তার প্রকৃত তদন্ত হোক। আমরা জানতে পেরেছি, যে ভাবে ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে, সেটি ওঁর একার সিদ্ধান্তে হয়নি। স্কুলের পরিচালন সমিতি সরকারি নিয়ম না মেনেই নিজেদের সদস্য পিছু চার থেকে পাঁচ জন করে ছাত্র ভর্তির কোটা তৈরি করে এই ভর্তি করিয়েছে।” সমিতির আরও বক্তব্য, সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারেরই কোনও কোটা পদ্ধতি নেই। সেক্ষেত্রে স্কুলের পরিচালন সমিতি নিজে কী করে কোটা তৈরি করল? ভর্তির এই অনিয়ম হওয়ার পিছনে প্রধান শিক্ষক ছাড়াও পরিচালন সমিতির কিছু সদস্য রয়েছেন বলে তাঁদের ধারণা। তাই সত্য উদ্ঘাটন হোক। না হলে সমিতি খুবই শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি জানাবে।
ঘটনা হল, শুধু প্রধান শিক্ষক নন, অনিয়মের অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের একাধিক শিক্ষাকর্মীও। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ধারণা, অর্থ তছরুপ ও ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম করার জন্য একটি চক্র কাজ করছিল ওই স্কুলে। পদাধিকার বলে জেলাশাসক নিজেই এই স্কুলের সভাপতি হওয়ায় বিভিন্ন বেনিয়মের অভিযোগের তদন্ত যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই করছে পুলিশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার এ দিন বলেন, “সমিতির অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হওয়ার পরে আমরা যথেষ্ট সময় নিয়ে তদন্ত করেছি। অভিযোগের পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়ার পরেই সোমনাথবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।” তিনি আরও জানান, সব ক্ষেত্রেই যে গ্রেফতারি পরোয়ানা লাগবে, তার কোনও মানে নেই।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যুর জেরে ঘণ্টা দুয়েক রানিগঞ্জের জেকে নগর মোড় অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ওই মোড়ে চারটি জায়গায় পরিত্যক্ত টায়ার পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃতের নাম শ্রীকান্ত বাউড়ি (২৫)। তাঁর ভাইকে গুরুতর জখম অবস্থায় রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃত শ্রীকান্ত এবং তাঁর ভাই শ্রীমন্তের বাড়ি রানিগঞ্জের সিহারশোল গ্রামে। কিন্তু তাঁরা চলবলপুরে তাঁদের মামার বাড়িতেই থাকতেন। |