পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের জটিলতা |
আজ সকালেও মিটল না পঞ্চায়তে নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতা। সে ‘বল’ এ বার রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ‘কোর্টে’ ঠেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতকে ফের জানিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। এর পর বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান, এই অবস্থায় দু’টি পথ খোলা রয়েছে। এক, ভোট স্থগিত করে দেওয়া। দুই, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত দফার সংখ্যা বাড়ানো। পাশাপাশি তিনি জানান, আদালত চাইছে পঞ্চায়েত ভোট হোক। সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রস্তাব প্রথম দফার ভোট অর্থাৎ ২ জুলাইয়ের নির্বাচনকে ভেঙে তিন দফায় অর্থাৎ মোট পাঁচ দফায়— ২, ৪, ৬, ৮ ও ৯ তারিখে করা যেতে পারে। রাজ্য সরকার আদালতকে জানায়, দিনগুলি কাছাকাছি হওয়ায় সমস্যা। নির্বাচন কমিশন বলে, পর্যাপ্ত বাহিনী না হলে ভোট নয়। এর পর বিচারপতি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারকে তাঁর এই দফা বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসে তারা কী সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে সে কথা আজ বিকেল তিনটের সময় দু’পক্ষকেই আদালতে জানাতে বলেন। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র সচিব মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্য সচিবের ১৫ মিনিটের বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কলকাতা হাইকোর্টে স্বরাষ্ট্র সচিব জানান যে, পাঁচ নয় চার দফায় ভোট চায় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত ভোটের সূচি এই রকম— ২ জুলাই: প্রথম দফায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুলাই: দ্বিতীয় দফায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ জুলাই: তৃতীয় দফায় নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূম এবং ৯ জুলাই: চতুর্থ দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভোট চায় রাজ্য সরকার। এ দিকে নির্বাচন কমিশন ক দফায় ভোট তা নিয়ে চিন্তিত নয়। কমিশনের দাবি, রাজ্যের নির্বাচনী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যে পঞ্চায়ত নির্বাচনে বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। জটিলতা আজও কাটল না। এই পরিস্থিতিতে আগামী কাল সকালে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে। এখন পঞ্চায়ত ভোটের ভবিষ্যত কি হবে তা জানতে মুখিয়ে আছে গোটা রাজ্য।
|
এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু সিপিএম সমর্থকের |
নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা, মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি— এ রকম একাধিক অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বারবার তুলেছেন বিরোধীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বারবার আক্রান্ত হয়েছেন বিরোধী দলগুলির একাধিক প্রার্থী বা কর্মী। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। এ বার এসএসকেএম-এ মৃত্যু হল এক সিপিএম সমর্থকের, নাম রামজীবন খামরি। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা। রামজীবন বাবুর ছেলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোপীবল্লভপুরের সিপিএম প্রার্থী। স্থানীয় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের দাবি, রবিবার রাতে ভোটের প্রার্থী পদ থেকে ছেলের নাম তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে রামজীবন বাবুর বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনী। ছেলেকে না পেয়ে তাঁর মাথায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
|
আফগান রাষ্ট্রপতি ভবনে জঙ্গি হামলা |
ফের জঙ্গি হামলার নিশানায় আফগানিস্তান। এ বার হামলা খোদ রাষ্ট্রপতি ভবনে। আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠক শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই, ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ একদল সশস্ত্র জঙ্গি হামলা চালায় রাষ্ট্রপতি ভবনে। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে জঙ্গিদের। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ২০ জন সাংবাদিকও আটকে পড়েন ভবনে। কাবুল পুলিশ সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে সব জঙ্গি নিহত হয়েছে। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবন এখন সুরক্ষিত। তালিবান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। |