|
|
|
|
|
ইডেনের ‘গ্যাটিং’ ফিরে এল এজবাস্টনে |
তিরাশির দেশে এ বার ময়ূর
সিংহাসন ছিনিয়ে নিলেন ধোনিরা
গৌতম ভট্টাচার্য • বার্মিংহ্যাম |
|
এজবাস্টনের গর্জনে গুলিয়ে যেতে পারে এটা এজবাস্টন না ইডেন! ইডেনই...।
এজবাস্টনে ফিরে আসার কথা ছিল তিরাশির অবিস্মরণীয় বিকেল তিরাশিরই দেশে!
ফিরল যত না ২৫ জুন, তার চেয়ে বেশি ইডেনে সাতাশির ৮ নভেম্বর। সে দিন অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করে নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড হড়কে যায় স্বয়ং ইংরেজ অধিনায়কের আত্মঘাতী স্ট্রোকে। গ্যাটিংয়ের সেই চিরনিন্দিত ইডেনের রিভার্স সুইপের মতোই একটা জঘন্য পুল শট খেললেন ওয়েন মর্গ্যান। রোববারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে সর্বকালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ ভারত অধিনায়ক পদে বসিয়ে দিল! কিন্তু ধোনি জানেন এই ফাইনাল তিনি জেতেননি। তাঁর বিপক্ষ আত্মহত্যা করেছে।
এমনই মহানাটকে ভরা এই ম্যাচ যে, শেষ বলের পর ধোনির যা উচ্ছ্বাস দেখা গেল, বিশ্বকাপ জিতে ওয়াংখেড়ে তার ছিটেফোঁটা দেখেনি! অবিশ্বাস্য এই ৫ রানে জয়। ইংল্যান্ড এত কাছে এসে গিয়েছিল। পরপর এত উইকেট পড়েও শেষ বল পর্যন্ত লড়াইয়ে ছিল। অশ্বিনের শেষ বলে ছয় মারলে ইংল্যান্ড জেতে এই অবস্থায় ট্রেডওয়েল ব্যাটে লাগাতে পারলেন না। আর তখন ধোনিকে দেখাচ্ছিল সৌরভ!
কিন্তু তাঁকে দোষী করার মানে হয় না। ম্যাচটা তো ঘুরেছে আসলে ইশান্তকে তিন ওভারে যখন জিততে মাত্র ২০ রান চাই, হাতে ছয় উইকেট এই অবস্থায় মর্গ্যান উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন। পরের ডেলিভারিতেই আউট রবি বোপারা। ইংল্যান্ড ওখানেই আটত্রিশ বছর তার ওয়ান ডে ইতিহাস ভাগ্যে প্রথম ট্রফি জেতার সম্ভাবনার ওপর চুনকালি মাখিয়ে দিয়েছে। |
এ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ধোনির হাতে। ছবি: এপি |
টিম ইন্ডিয়া সৌরভের নেতৃত্বে সেই ন্যাটওয়েস্ট জেতার পর ট্রফি জিতে উঠে এই রকম উচ্ছ্বাস দেখিনি! গ্যালারিতে অবিরাম ঢাক বাজছে, অবিরাম শাঁখের আওয়াজ শুনছি এই রকম ‘ভারতীয়’ মাঠে তো স্বাভাবিক। এজবাস্টন প্রেসবক্স নিস্তব্ধ হয়ে গেছে সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু প্রাইজ দেওয়ার আগেই মাঠের মধ্যে ওটা কি শ্যাম্পেন? যা নিয়ে ভারতীয় প্লেয়াররা একে অপরকে মাখিয়ে দিচ্ছে? শ্যাম্পেন কি মাঠে আনা যায়? এগুলো লোকে ড্রেসিংরুম বা ব্যালকনি-ট্যালকনিতে খোলে না? রূপকথার এই রোববার রাতে প্রশ্ন করার কেউ নেই।
ভারত যত না তিরাশির ২৫ জুন ফেরত এনেছে তার চেয়ে বেশি দেশজ সমর্থকদের বার করে এনেছে স্পট-ফিক্সিং বিতর্কের অন্ধকার থেকে। ওপরে যে ফুল-মুন দেখার কথা ছিল এই রাত পৌনে ন’টায় তা দৃশ্যমান নয়। কিন্তু এই যে সামনে ‘ম্যান অব দ্য ফাইনাল’ জাডেজাকে ঘিরে নীল জার্সিরা আনন্দে মাতোয়ারা এটাই তো সবচেয়ে বড় রূপকথা। চক দে-র সঙ্গে ধোনিকেও যে এখন এত উচ্ছ্বসিত দেখছি, তার মানে ভেতরে কত কিছু জমে ছিল, বরাবরের শীতল নেতাকে এই চেহারায় দেখাও তো মিনি রূপকথা! দু’বছর আগে এই এজবাস্টনেই এক নম্বর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের কোহিনুর খোয়ানো ধোনির ভারত যেন ক্রিকেটের ময়ূর সিংহাসন জিতে নিল তার এ কালের ক্রিকেট শাসকের থেকে!
ফাইনাল জেতার সেলিব্রেশনটাও ‘জেন ওয়াই’ সেলিব্রেশন! রায়নাদের পূর্বসুরিদের বিজয়োৎসবে একটা বাঁধন থাকত। টিম ধোনির আনন্দ এ দিন বাঁধনহারা। যা এই টিমটার তারুণ্যেরই জয়ধ্বনি। বিরাট কোহলি আনন্দে মাঠেই ডন-বৈঠক দিচ্ছেন তো, বাকিরা ততক্ষণে গ্যাংনাম শুরু করে দিয়েছেন। তিরিশ বছরের ধোনিই শুধু বাদ। পুরস্কার-মঞ্চে বলেও গেলেন, “আমিই এই টিমটার সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার।”
তিরাশির লর্ডসে ভাঙা শুরু করেছিলেন বলবিন্দর সিংহ সাঁধু। ফিল্ডারের সেখানে কোনও যোগদান ছিল না। গ্রিনিজ বোল্ড হন। এজবাস্টনে অবশ্য বিপক্ষের প্রথম উইকেট যতটা উমেশ যাদবের, তার চেয়ে বেশি ফার্স্ট স্লিপে অশ্বিনের দুর্দান্ত ক্যাচের। ইংল্যান্ড ৩-১, কলকাতার স্থানীয় লিগের ভাষায়, খেলা জমে দই।
তিরিশ বছর পর সেকেন্ড উইকেটটা গেছিল একটু দেরিতে। ভারতীয় সমর্থকদের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার উপক্রম করে। জোনাথন ট্রট যেন সে দিনের ভিভ রিচার্ডস। ওখানে ভিভ যখন বিদায় নেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৭। এখানে ইংল্যান্ড ২৭-২। অশ্বিন শুধু বল গ্রিপই করছেন না, টার্ন পাচ্ছেন প্রথম বল থেকে। বার্মিংহ্যাম উইকেটকে তখন মনে হচ্ছে ভারত থেকে এ দেশে আনা রান্নার মশলার মতোই আমদানি। |
|
বিরাট কোহলিকে গত কালের আনন্দবাজারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুস্তাক মহম্মদ চিহ্নিত করেছেন, এই জমানার একমাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান, যে তাঁদের সময়ে জমিয়ে ইন্ডিয়া খেলতে পারত। তা ভারতীয় ইনিংসে কোহলি-ই সবচেয়ে লড়লেন। বৃষ্টি থেকে ভাল ভাবে শুকিয়ে না ওঠা, কিছুটা ভেজা এই উইকেটে ৩৪ বলে তাঁর দুরন্ত ৪৩ অন্তত ভারতকে ম্যাচে রেখে দেয়। ধোনির ‘স্যর’ জাডেজাও দারুণ লড়লেন অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংসে। নতুন ভারতীয় দল এখন দেবু মিত্র-র এই দ্বিতীয় বিখ্যাত শিষ্য ছাড়া ভাবাই যাচ্ছে না! ভারতীয় ইনিংসে কুড়ি ওভারের পক্ষে অমার্জনীয় ৫৪ ডট বল খেলা হল। কিন্তু পরিস্থিতি, উইকেট, বোলিং সব মাথায় রাখলে সহজবোধ্য। বিরাটদের সবচেয়ে বড় মোটিভেশন, তিরিশ বছর আগে এখান থেকে দেড় ঘণ্টার ট্রেন দূরত্বের একটা কুলীন মাঠে যদি পূর্বপুরুষরা ১৮৩ তুলে পঞ্চাশ ওভারে জিততে পারেন, ১২৯ তুলে কুড়ি ওভারে কাপ ধরা যাবে না কেন!
কিন্তু কাপ পাওয়া না পাওয়ার চেয়েও যেটা আশ্চর্য লাগছে সকাল থেকে, ইংল্যান্ডের মাঠে ইংল্যান্ড দর্শক কী করে এমন পরাধীন হয়ে গেল? এজবাস্টন জুড়ে শুধু তেরঙ্গা ঝান্ডা। ইউনিয়ন জ্যাক আঙুলে গুণে বলা যাবে। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ যখন ইংল্যান্ড টিম কোচ থেকে নেমে ঢুকছে উৎসাহীরা সব ধোনিদের জন্য দাঁড়িয়ে। ঢুকতে যাওয়া ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বিদ্রূপ করল। ঠিক প্রেসবক্স লিফটের সামনেই ঘটছে। গ্রেম সোয়ান বিরক্ত গলায় বলতে বলতে ঢুকলেন, ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া পাগল করে দিল!
এজবাস্টন ভারতীয় ব্যাটিংকে নিজস্ব মহিমায় ফুটিয়ে তুলতে না পারুক, দর্শক আধিপত্যে ইংল্যান্ডকে নিজভূমিতে কলোনির পর্যায়ে নামিয়ে এনেছিল। ইংল্যান্ডের মাঠে ‘ভারতীয় ক্রিকেটের গ্রীষ্ম’ তো খুব ছোট একটা খেলার মাঠের উপমা। রোববারের এজবাস্টন যেন বৃহত্তর সামাজিক ছবিটাও ফুটিয়ে তুললনতুন ইংল্যান্ডে উদিত নতুন ভারত। চিকেন তন্দুরি মসালা থেকে দর্শক সমর্থনসবেতেই এখন তারা। চল্লিশ বছর এখানে কাটানো সাংবাদিক মিহির বসু বলছিলেন, “গত চার-পাঁচ বছরে ছবিটাই বদলে গিয়েছে। এখন রতন টাটা খুব জরুরি কিছু বললে রাত দশটার বিবিসি নিউজ সেটা শোনায়।” আর সত্যিই উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোজ এখানকার চ্যানেলে। এজবাস্টনকে যে মোহালি, বেঙ্গালুরু বা আমদাবাদ মনে হবে। নিরন্তর সেখানে ঢাক, শঙ্খ আর চক দে একইসঙ্গে বাজবে বিচিত্র কী! ম্যাচের শেষেও একই ছবি। ইংল্যান্ড নিজভূমিতে কলোনির পর্যায়ে নেমে আসা! কুক তো বলেই গেলেন, “মনে হচ্ছিল, আমরা আজ অ্যাওয়েতে খেলছি!” |
|
একে তো ইংল্যান্ডের সুইং আক্রমণ টুর্নামেন্টে সেরা। যার কথা প্রবীণ পাকিস্তানি অধিনায়ক রোববারের আনন্দবাজারে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তার ওপর বৃষ্টির পর বল পড়ে আস্তে আসছে। যার ওভারটা আসার জন্য ভারত জুলজুল করে তাকিয়েছিল সেই রবি বোপারাই কিনা অতর্কিত ঘাতক হয়ে দেখা দিলেন। বোপারার একটা সময়ে বোলিং হিসেব ৩-১-৮-৩। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা তিন তাঁকে মিসটাইমড স্ট্রোক মেরে প্যাভিলিয়নে। ধবন, রায়না, ধোনি। প্রত্যেকটাতে বল পরে এসেছে।
ধোনির টিম ইন্ডিয়াতে চেন্নাইয়ের প্লেয়ার আছে চারজন। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দু’জন। তার ওপর শিখর ধবন। তার ওপর বিরাট কোহলি।
কে জানত সেই টিমের মিডল অর্ডারকে এমন কুঁজো আর নড়বড়ে দেখাতে শুরু করবে যেন কেকেআর খেলছে।
সকালে কুক টস জিততেই দেখলাম শিল্ড বেরি দৌড়ে ল্যাপটপের কাছে এলেন। বললেন, এখনই টুইট করব ম্যাচটায় ভারত অনেক এগিয়ে ছিল। এই সমান-সমান হল।
ওভার এতটা কমে যাওয়ার পর টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে বাধ্য হওয়াটা সত্যিই বিভ্রান্তকর যে, কত করব। এত দিন টেনে দিচ্ছিল ওপেনাররা। এ দিন তারা রান না পাওয়ায় ধোনি-রায়নার মতো টি টোয়েন্টি ওস্তাদরাও চালাতে পারলেন না চ্যািম্পয়ন্স ট্রফিতে। দু’জনে সাকুল্যে খেলেছেন তো মাত্র ৩৬ ডেলিভারি! আর প্রমাণ হল, তুমি যত বড় ব্যাটসম্যানই হও ম্যাচ প্র্যাক্টিসে না থাকলে তুমি আর তত বড় নও।
ফাইনালে ধোনির উদ্দীপ্ত, তরুণ ভারত জিতবে? প্রতিযোগিতার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সুইং বোলিং সমন্বিত ইংল্যান্ড প্রথম এক দিনের ট্রফি ছিনিয়ে নেবে? নাকি বৃষ্টি যুগ্ম জয়ীর মঞ্চে তুলে দিয়ে সারা দিনের প্রহসন বন্ধ করে দেবে?
রোববারের এজবাস্টন আদ্যন্ত এই তিনটে বিকল্প নিয়ে মগ্ন রইল। ল্যাডব্রোকসের দরটা কী দাঁড়িয়েছে আজ খোঁজ নেওয়া হয়নি। নির্ঘাত তৃতীয় সম্ভাবনার দিকে হেলে ছিল।
কিন্তু তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, আইসিসি ফাইনালের জন্য কোনও রিজার্ভ দিন রাখেনি কেন? বলা হচ্ছে ইংল্যান্ডের পরশু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। ভারতের অর্ধেক দল সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যাচ্ছে বলে ক্যালেন্ডারে কোনও সময় নেই। এটা কোনও যুক্তিই না। প্রয়োজন হলে গুরুত্বহীন ওই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হত না। ভারতের প্লেয়াররাও বাকি টিমের সঙ্গে মঙ্গলবার জামাইকার ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে উঠত। সবচেয়ে হাস্যকর, ফাইনাল যদি এক দিনেরই হয়, ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বৃষ্টিস্নাত অঞ্চলকে বাছা হল কেন? লর্ডসকে যদি অজিদের জন্য রাখতে হয়, অন্তত ওভালে তো ফাইনাল সংগঠন করাই যেত। যেখানে বৃষ্টি কয়েক পশলা হয়ে আবার রোদ ফেরত আসে। অথচ বার্মিংহ্যাম-সহ ইংল্যান্ডের মিডল্যান্ডস অঞ্চল অতি-বৃষ্টির জন্য কুখ্যাত। সেখানে খেলা করা, মানে কলকাতা ছেড়ে চেরাপুঞ্জিতে জুনে ওয়ান ডে ফাইনাল খেলা!
এক দিন মাত্র ফাইনালের জন্য রাখা আর সেটা ভুল জায়গায় ফেলা জোড়া ভুল সিদ্ধান্ত ঢাকতে গিয়ে আইসিসি এত মরিয়া সব সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে যে, খেতাবের গাম্ভীর্যটাই ত্যাগ করা হয়ে যায়। প্রথমত, পঞ্চাশ ওভারের টুর্নামেন্টের সেরা নির্ধারিত হচ্ছে কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলিয়ে, এই আইডিয়াটাই তো চরমতম স্ববিরোধিতায় ভরা। এ তো এগারো জন করে ম্যাচ খেলা হবে বলে ফাইভ-এ-সাইড ফুটবলে জয়ী নির্ধারণের মতো! ইংল্যান্ড মিডিয়ায় সবচেয়ে ক্রিকেটমস্তিষ্কবান হিসেবে পরিচিত দুই প্রাক্তন অধিনায়ক। তাঁদের কারও নাম এই আধুনিক যুগে মাইক ব্রিয়ারলি নয়।
নাসির হুসেন আর মাইকেল আথারটন।
নিজেদের দ্বিপ্রাহরিক আলোচনায় তাঁরা আরও একটা প্রশ্ন তুললেন, বৃষ্টির আগে টিম লিস্ট এক্সচেঞ্জ হয়ে গেছে মানে তুমি ফিফটি ওভার্সের টিম বেছেছো। এখন খেলা কুড়ি ওভারের। কেন তোমরা নতুন টিম তৈরির স্বাধীনতা পাবে না?
|
ভারত |
রোহিত বো ব্রড ৯
ধবন ক ট্রেডওয়েল বো বোপারা ৩১
কোহলি ক বোপারা বো অ্যান্ডারসন ৪৩
কার্তিক ক মর্গ্যান বো ট্রেডওয়েল ৬
রায়না ক কুক বো বোপারা ১
ধোনি ক ট্রেডওয়েল বো বোপারা ০
জাডেজা ন.আ. ৩৩
অশ্বিন রান আউট ১
ভুবনেশ্বর ন.আ. ১
অতিরিক্ত ৪
মোট ২০ ওভারে ১২৯-৭
পতন: ১৯, ৫০, ৬৪, ৬৬, ৬৬, ১১৩, ১১৯
বোলিং: অ্যান্ডারসন ৪-০-২৪-১, ব্রড ৪-০-২৬-১, ব্রেসনান ৪-০-৩৪-০
ট্রেডওয়েল ৪-০-২৫-১, বোপারা ৪-১-২০-৩
|
ইংল্যান্ড |
কুক ক অশ্বিন বো উমেশ ২
বেল স্টা. ধোনি বো জাডেজা ১৩
ট্রট স্টা. ধোনি বো অশ্বিন ২০
রুট ক ইশান্ত বো অশ্বিন ৭
মর্গ্যান ক অশ্বিন বো ইশান্ত ৩৩
বোপারা ক অশ্বিন বো ইশান্ত ৩০
বাটলার বো জাডেজা ০
ব্রেসনান রান আউট ২
ব্রড ন.আ. ৭
ট্রেডওয়েল ন.আ. ৫
অতিরিক্ত ৫
মোট ২০ ওভারে ১২৪-৮
পতন: ৩, ২৮, ৪০, ৪৬, ১১০, ১১০, ১১২, ১১৩
বোলিং: ভুবনেশ্বর ৩-০-১৯-০, উমেশ ২-০-১০-১, জাডেজা ৪-০-২৪-২
অশ্বিন ৪-১-১৫-২, ইশান্ত ৪-০-৩৬-২, রায়না ৩-০-১৯-০ |
|
|
|
|
|
|
|