এ বার তালিবানি বন্দুকের নিশানায় বিদেশি অভিযাত্রীরা।
শনিবার রাত প্রায় ১ টা নাগাদ বুনার নুল্লাহ এলাকার নাঙ্গা পর্বতের বেস ক্যাম্পে আধা-সামরিক বাহিনীর বেশে হানা দেয় জনা ১৫-১৬ জঙ্গি। তাদের গুলিতে নিহত হন ন’জন বিদেশি অভিযাত্রী-সহ মোট ১১ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ জন ইউক্রেনের বাসিন্দা, তিন জন চিনা এবং এক জন রুশ নাগরিক। মারা গিয়েছেন এক জন নেপালি শেরপা। এ ছাড়াও নিহতদের মধ্যে এক জন পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছেন বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর। ঘটনাচক্রে বেঁচে গিয়েছেন এক চিনা অভিযাত্রী। ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ইজরায়েলের খেলোয়াড়দের উপর হামলা চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিল প্যালেস্তাইনের ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ জঙ্গি গোষ্ঠী।
ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটলেও রবিবার সকালে এই ঘটনার কথা জানতে পারে প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে পাক-সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নাঙ্গা পর্বতের উপত্যকা এলাকার একটি হোটেলে হামলা চালিয়ে বিদেশিদের খুন করেছে তালিবান। পরে অবশ্য বিবৃতি সংশোধন করে প্রশাসন জানায়, হোটেলে নয়, তালিবান হামলা চালিয়েছিল নাঙ্গা পর্বতের বেস ক্যাম্পেই। ওই পর্বতে এখনও জনা চল্লিশেক বিদেশি অভিযাত্রী রয়েছেন বলেও খবর।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আধা-সামরিক বাহিনীর পোশাক পরে এসেছিল জঙ্গিরা।
স্থানীয় দু’জন শেরপার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিদেশি অভিযাত্রীদের কাছে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। সেখানে পৌঁছে প্রথমে বিদেশিদের গুলি করে মারে জঙ্গিরা।
তাদের পাসপোর্ট এবং টাকা-পয়সাও নিয়ে নেয়। এর পরে, যে দু’জনকে তারা বন্দি করেছিল, তাদের মধ্যে এক জনকে গুলি করে মারে।
কিন্তু অন্য জনকে ছেড়ে দেয়। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
সরকারি সূত্রে খবর, নাঙ্গা পর্বতের যে দিকে এই ঘটনা ঘটেছে সেটি অত্যন্ত দুর্গম। তা-ই মৃতদেহ উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান। |
হংকং ছেড়ে রাশিয়া গেলেন স্নোডেন
সংবাদসংস্থা • বেজিং |
সরকারি তথ্য ফাঁসের অভিযোগে আমেরিকা গত শুক্রবারই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই তা উপেক্ষা করে হংকং থেকে মস্কো পাড়ি দিলেন এডওয়ার্ড স্নোডেন। আগামী কাল হাভানা হয়ে কারাকাস যাবেন এনএসএ-এর এই প্রাক্তন গুপ্তচর। তবে মস্কোয় নামার পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি। সম্ভবত বিমানবন্দর থেকেই আলাদা করে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। হংকং ছাড়ার আগে স্নোডেন নেটে আড়িপাতা নিয়ে আবারও নতুন তথ্য ফাঁস করেছেন। তাঁর দাবি, চিনের মোবাইল ফোনে আড়ি পেতে প্রচুর মেসেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। |