টুকরো খবর
১৩ বছরেই আইআইটি প্রবেশিকায় সাফল্য

সত্যম সিংহ
আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় গত বছরও পাশ করেছিল ছেলেটি। মেধাতালিকায় পিছনের সারিতে নাম থাকায় ফের ওই পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এ বছর এই পরীক্ষায় আরও ভালো ফল করল ১৩ বছরের সত্যম সিংহ। দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃষক পরিবারের ওই কিশোর রয়েছে ৬৭৯-তম স্থানে। গত বছর তা ছিল ৮ হাজার ১৩৭। আইএএস হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে সত্যমের। তার পরিজনরা জানান, পরীক্ষার আগে দিনরাত পড়াশোনায় ডুবে থাকত সে। ১৬-১৭ ঘণ্টায় বইয়ের পাতায় চোখ থাকত তার। ভোজপুরের বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোর আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিল রাজস্থানের কোটায়। ওই পরীক্ষায় বসতে বিশেষ অনুমতিও নিয়েছিল বছর তেরোর ওই কিশোর। সত্যমের কথায়, “গতবারের রেজাল্টে আমি খুশি হইনি। ঠিক করেছিলাম পরের বছর ফের পরীক্ষায় বসব।” তার বাবা সিদ্ধিনাথ সিংহ বলেন, “পরিশ্রমের ফল পেয়েছে আমার ছেলে। দিনরাত ও পড়াশোনা করত।” সত্যমের কাকা রামপুকার বলেন, “ও শুধু আমাদের পরিবারের নয়, গোটা জেলার গর্ব।”

ভক্তদের জয়ধ্বনিতে কাঁপছে কামাখ্যা
প্রচণ্ড রোদ্দুরে মন্দিরের সামনে মানুষের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলেন ভক্তদের অনেকেই। মায়ের নামে জয়ধ্বনি ছিল অবিরাম। সন্ধ্যায় আকাশভাঙায় বৃষ্টিতে ক্লান্তি উধাও হল নিমেষেই। মায়ের দর্শনের জন্য নতুন প্রাণশক্তি ফিরে পেলেন তাঁরা। ডমরু, করতালের শব্দ, সন্ন্যাসীদের বজ্রনাদ, গঞ্জিকাগন্ধী বাতাস ছড়িয়ে পড়ল নীলাচল পাহাড়ে---কামাখ্যা মন্দির চত্বরে। অম্বুবাচীর প্রথম দিনটা এভাবেই কাটল সেখানে। মন্দির প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখতে এ বার মন্দিরের আশপাশে সাধুদের আখড়া গড়তে দেওয়া হয়নি। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দু’লক্ষ ভক্ত মন্দিরে পৌঁছেছেন। সংখ্যাটা দিনদিনই লাফিয়ে বাড়ছে। গেরুয়া, লাল, কালো বস্ত্রে সেজে সাধু-সন্ন্যাসীর ভিড় পায়ে পায়ে এগিয়ে চলেছে চূড়ার দিকে। শনিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট ১ সেকেণ্ডে অম্বুবাচীর নিবৃত্তি শুরু হল। বন্ধ হল মন্দিরের সিংহদরজা। রাতে নিবৃত্তি হলেও পুজো হবে পরদিন সকালে। ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলবে তখনই। অম্বুবাচী উপলক্ষে এ বছর কামাখ্যাই নয় শুক্রেশ্বর মন্দির ও ব্রহ্মপুত্রের মধ্যে উমানন্দ মন্দির এবং দ্বীপও আলোয় সাজানো হয়েছে। ভিড় জমানো ভক্তদের জন্য কামাখ্যা স্টেশন, সোনারাম স্কুলের মাঠের শিবিরে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সন্ন্যাসীদের খাদ্য বিতরণ করেন। উদ্বোধন করেন কামাখ্যাধাম বাস পরিষেবারও। এখনও পর্যন্ত গরমে একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।

যৌন নিগ্রহের জেরে উত্তপ্ত তুরা
যৌন নিগ্রহের ঘটনা জেরে উত্তেজনা ছড়াল মেঘালয়ের তুরায়। পরিস্থিতি এমনই উত্তপ্ত যে গতকাল রাত থেকে তুরা-সহ পশ্চিম গারো হিল জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আধাসেনাও। ঘটনার সূত্রপাত গতকাল সন্ধ্যায়। পুলিশ জানায়, তিন শ্রমিক মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় অসমের মানকাচর থেকে তুরায় আসা শ্রমিকদেরও। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। জনতার দাবি, অভিযুক্তদের তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। তিন অভিযুক্তকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তুরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে উত্তেজিত লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। জনতাকে হঠাতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। তাতে কোনও লাভ হয়নি। এরপরই পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। অভিযোগ, তাতে একজনের মৃত্যু হয়। জখম হয় কয়েকজন। রাজ্য পুলিশের আইজি নোংপ্লু বলেন, “উত্তেজিত বাসিন্দারা ভাঙচুর শুরু করে। পথচারীদেরও মারধর করছে। তা-ই কার্ফু জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

বিস্ফোরণের আগেই ধৃত মূল চক্রী, দাবি
মালেগাঁও বিস্ফোরণে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখার (এটিএস) তত্ত্ব খারিজ করে দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তাদের চার্জশিটে এনআইএ দাবি করেছে, এটিএস যাকে মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করেছিল, সেই সাবির মাসিউল্লা বিস্ফোরণের আগে থেকেই পুলিশি হেফাজতে ছিল। এটিএসের সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় নাম আছে জাহিদ মজিদের। এটিএসের দাবি, বিস্ফোরণের বোমা রেখে এসেছিল জাহিদ। কিন্তু এনআইএ সূত্রে খবর, তখন ঘটনাস্থলে জাহিদ ছিলই না। ২০০৬-এ মালেগাঁও বিস্ফোরণে ৯ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। অপরাধীদের যাতে কড়া সাজা হয় তাই তাদের বিরুদ্ধে মকোকায় অভিযোগও আনেন গোয়েন্দারা। পাঁচ বছর সাজা খাটার পর তাঁদের সাত জন ছাড়া পেলেও বাকি দু’জন এখনও জেলে। এনআইএ অবশ্য তাদের চার্জশিটে অন্য চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে।

গণধর্ষণের শিকার এক মহিলা
২৫ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাঁচ ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার ঘটনা। পাওয়াল শহরের বাসিন্দা ওই মহিলা শুক্রবার ট্রেনে করে গুড়গাঁও থেকে হরিয়ানা আসেন। সেখানে অনুপ সিংহ নামের এক ট্যাক্সিচালক একটি ভাড়া বাড়িতে মহিলাকে তুলে নিয়ে যান। আরও চার ট্যাক্সিচালক ও অনুপ সেখানে গণধর্ষণ করে ওই মহিলাকে। পরে ফের শহরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাত পর্যন্ত মহিলাকে গণধর্ষণ করে ওই পাঁচ যুবক। ধর্ষিতা মহিলা কোনও ভাবে পুলিশকে ফোন করলে পুলিশ ওই হোটেল থেকে অনুপ ও অন্য এক যুবককে গ্রেফতার করে।

পঞ্চায়েত ভোটে ত্রিপুরা বাম-ময়
রাজ্যে পঞ্চায়েতে উপনির্বাচনের ফল ঘোষিত হল আজ। প্রত্যাশিত ভাবেই বামেদেরই জয়জয়াকার। ত্রিপুরায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, নগর পঞ্চায়েত এবং এডিসি ভিলেজ কমিটির মোট ১৪০টি শূন্য আসনে এ বার ভোট হয়। তার মধ্যে ৪৯টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিপিএম প্রার্থীরা জয়ী আগেই হয়। ফলে ভোট হয় ৯১টি আসনে। এই ৯১টি আসনের মধ্যে সিপিএম পেয়েছে ৮৭টি। কেবল ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন কংগ্রেস এবং এডিসি ভিলেজ কমিটির একটি আসন আইএনপিটি দখল করেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কিশোর অম্বুলি জানান, এই উপনির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ এবং নগর পঞ্চায়েতের সব ক’টি আসনেই সিপিএম প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে।

স্ত্রীর দেহ টুকরো করলেন স্বামী
স্ত্রীর উপর রাগের বশে তাঁকে খুন করে মৃতদেহ ৩০০ টুকরো করে ফেললেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত চিকিত্‌সক সোমনাথ পারিদা। ঘটনাটি দিন পনেরো আগের হলেও প্রকাশ্যে আসে শনিবারই। সন্তানরা বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে ভুবনেশ্বরের নয়াপল্লি এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে বাস করছিলেন পারিদা দম্পতি। স্ত্রী উষশ্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় সোমনাথের। তার জেরেই স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করেন সোমনাথ। খুনের প্রমাণ লোপাট করার জন্য টুকরোগুলি কেমিক্যালে ডুবিয়ে গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও চালান তিনি।

বিচারবিভাগীয় হেফাজতে
পাকিস্তানি সেনার হাতে হত জওয়ান হেমরাজের স্ত্রীকে প্রতারণা ও সরকারের তরফে দেওয়া ১০ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক হরেন্দ্র সিংহকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আগরার একটি আদালত। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গত এপ্রিলে হেমরাজের স্ত্রী ধর্মাবতীর সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়েছিল সে। হেমরাজের পরিবার জানায়, ধর্মাবতীকে হেমরাজের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল হরেন্দ্র। ঘটনার পর পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয় হরেন্দ্রকে ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে ১০,০০০ টাকা পুরস্কার। সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করে ওই অভিযুক্ত। শনিবার হরেন্দ্রকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.