বহু ছাত্রী অসুস্থ, উত্তেজনা হুগলির স্কুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা |
স্কুলে কিছু ছাত্রীর বমি শুরু হল। আস্তে আস্তে একই উপসর্গ দেখা দিল আরও কিছু ছাত্রীর। চিকিৎসকেরা বলছেন, সরকারি প্রকল্পের যে ওষুধ খাওয়ার পরে ছাত্রীরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে, সে ওষুধ খেলে এমনটা হয় না। একমাত্র পেট খালি থাকলে কারও কারও ওই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এক জনকে বমি করতে দেখে অন্যেরাও অস্বস্তি বোধ করতে পারে। আতঙ্কের কিছু নেই। তবে হুগলি জেলার চণ্ডীতলার গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়ে ওই ঘটনার পরে অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্পের আওতায় এ দিন ষষ্ঠ থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৬৯৮ জন ছাত্রীকে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। অসুস্থ বোধ করছিল তাদের মধ্যে ১৩০ জন। নিয়ে যাওয়া হয় চণ্ডীতলা হাসপাতালে। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। সরকারি ওই প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক দলের সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক সুনীল নস্কর। তিনি বলেন, “ভরাপেটে এই ওষুধ খাওয়ার কথা। ওষুধ খাওয়ার আগে হয়তো কিছু ছাত্রীর পেট খালি হয়ে গিয়েছিল। সে কারণে তাদের বমি হয়েছে। এক জনকে বমি করতে দেখে অন্যদের অস্বস্তি শুরু হয়েছে। তা থেকেই এমন হয়েছে।” প্রধান শিক্ষিকা শ্রীমন্তী চাকি বলেন, “বমির উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ঝুঁকি না নিয়ে ছাত্রীদের হাসপাতালে পাঠাই।” সোমবার ফের ওষুধ খাওয়ানোর কথা। ওই কর্মসূচি ব্যাহত হবে না বলেই জানান প্রধান শিক্ষিকা।
|
রক্তদান শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
গ্রীষ্মকালীন রক্তসঙ্কট ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কারণে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে রক্তসঙ্কট চলছে। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে ‘প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনে’র পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরে চিকিৎসক, নার্স-সহ ১১৫ জন রক্তদান করেন। সংগঠনের সম্পাদক তথা চিকিৎসক গোপাল পোদ্দার জানান, ২০১২ সালের জুন মাসে মহকুমা জুড়ে ১৩টি রক্তদান শিবির হয়েছিল। এবার হয়েছে ৭টি। ফলে তৈরি হয়েছে রক্তসঙ্কট। তাই এই শিবির। |