পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আলিপুরদুয়ার মহকুমায় পৃথক জেলা ঘোষণার দাবিতে প্রচার-পাল্টা প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। বছর দুই আগে রাজ্য সরকার আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা করার কথা ঘোষণা করলেও, এখনও স্বীকৃতি না মেলায় ভোটের প্রচারে তা ইস্যু করেছে বিরোধীরা। শাসক গোষ্ঠীর প্রচার, জেলা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। তাই জেলা পরিষদও তৃণমূলের দখলে এলে এই প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে পৃথক জেলার দাবি তুলে ধরা হচ্ছে। রাজ্য সরকার শুধুমাত্র ঘোষণা করেই ক্ষান্ত। বামেরা ৩৪ বছরে আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলার মর্যাদা দিতে পারেনি। আর তৃণমূল ঘোষণায় দায় সেরেছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দাশগুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য সরকারের অপশাসন, রাজ্যে বেড়ে চলা ধর্ষণ, নারী নিগ্রহের ঘটনা বেড়ে চলার বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে পৃথক জেলা ঘোষণা যে চমকই থেকে গেছে তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার চলছে।” আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক এসপি নেতা নির্মল দাস বলেন, “২০১২ সালের নভেম্বরে জেলা হবে বলে তৃণমূল প্রতিশ্রুতিও দিয়ে কাজ করে দেখাতে পারেনি।”
|
দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা পুলিশ হেফাজতে |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত দুই ঠিকাদার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার ধৃতদের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক সন্তোষ পাঠকের এজলাসে তোলা হয়। একই মামলায় অপর এক অভিযুক্ত বাস্তুকার সপ্তর্ষি পালকেও এদিন আদালতে তোলা হয়। বিচারক তারও জামিন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে এই মামলায় অজিতবাবুর ঠিকাদার সংস্থার কর্মী অমল কৃষ্ণ সাহারও জামিন খারিজ করেছে আদালত। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার অজিতবাবু এবং তার ছেলে দেবব্রতবাবুকে দুর্গাপুরের ইস্পাত কলোনিতে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি নিয়ে আসে। অগ্রিম টাকা নিয়েও কোনও কাজ বা মালপত্র সরবরাহ না করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
|
লক্ষাধিক টাকার জাল নোট ও একটি বিলাসবহুল গাড়ি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিআরআই)। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ঘোষপুকুর থেকে প্রায় ৯ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা সহ তিনজন ধরা পড়ে। ডিআরআই সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম শেখ সাহিন, রোহিত রায় ও কানাইয়া কুমার। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতদের বাড়ি বিহারের চম্পারণ এলাকার মাঝোলিয়ায়। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে, ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মালদার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই জালনোট এনেছিল। মালদহ থেকে তাঁরা ঠিক কোথায় যাচ্ছিল সে বিষয়টি গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।
|
শুক্রবার একটি নর্দমা থেকে এক আদিবাসী চা শ্রমিকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল কার্তিক চৌপতি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত চা শ্রমিকের নাম বিশ্রমাম বাক্সলা (৪৫)। |