টুকরো খবর
পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নালিশ, চাঞ্চল্য
এক প্রবেশনার আইপিএসের নামে পুলিশের কাছেই অভিযোগ করল তৃণমূল। দলের বক্তব্য, ওই অফিসার বিনা প্ররোচনায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করেছেন। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শাসক দলে ও পুলিশ মহলেও। লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ডিআইজি (মেদিনীপুর) লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। গত বুধবার সন্ধ্যায় বেলদার সাবড়ায় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় তৃণমূলের মিছিল হয়। শাসকদলের বক্তব্য, কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা মিছিলে হামলা করেন। যাঁরা হামলা করেছিলেন, তাঁরা এক সময় সিপিএম করতেন। অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, মিছিল করে এসে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাড়তি পুলিশ বাহিনী। ছিলেন প্রবেশনার আইপিএস অজিত সিংহ যাদব। তৃণমূলের অভিযোগ, এই অফিসার বিনা প্ররোচনায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করলে বেশ কয়েকজন জখম হন। কয়েকজনের আঘাত আবার গুরুতর। ওই আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে শুক্রবার ডিআইজি’র (মেদিনীপুর) কাছে লিখিত অভিযোগ করে তৃণমূল। দলের জেলা নেতা শৈবাল গিরি বলেন, “আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা ওই দিন কোনও প্ররোচনা সৃষ্টি করেননি। তা-ও ওই অফিসার ব্যাপক লাঠি চালান। বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন।” পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

হোমে পরপর দুই আবাসিকের মৃত্যু
পরপর তিন দিনে দুই আবাসিকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মেদিনীপুরের এক হোমে। মৃতদের নাম খগেন মণ্ডল (৫৩) ও এজমা হোসেন (৪৭)। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, খগেনবাবু কিছু দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। আর এজমা হোসেন শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আবাসিক মৃত্যুর জেরে ফের প্রশ্ন উঠেছে সরকারি হোমে একজন স্থায়ী চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও তা নেই কেন? হোমের ম্যানেজার বিপ্লব দাসের দাবি, “অসুস্থ অবস্থায় ওই দুই আবাসিককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।” মেদিনীপুর কলেজ মাঠের পাশেই রয়েছে ভবঘুরে আবাস। এটি সরকারি হোম। আদালতের নির্দেশে ভবঘুরেদের এখানে রাখা হয়। এখন এই হোমে ২৭০ জন আবাসিক রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এখানে ৫ জন মেল নার্স থাকার কথা। আবাসিকের সংখ্যা যেখানে প্রায় ২৭০, সেখানে মেল নার্স রয়েছেন মাত্র একজন। তবে চিকিৎসার গাফিলতির কথা মানতে নারাজ হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের এক আধিকারিকের কথায়, “চিকিৎসক না-থাকায় কিছু সমস্যা হলেও গাফিলতির ব্যাপার নেই। কোনও আবাসিক অসুস্থ হলে তড়িঘড়ি তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হোমে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.