অভিযোগ জানানোয় বাধা
ঘরে ঢুকে ‘শ্লীলতাহানি’,
বধূ আত্মঘাতী নলহাটিতে
বাড়িতে একা পেয়ে এক বধূর শ্লীলতাহানি করেছিল পড়শি যুবক। পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ জানাতে যাওয়ার পথে বাধা দেন গ্রামবাসীর একাংশ। বিষয়টি গ্রামে বসেই মিটিয়ে নিতে ‘চাপ’ দেওয়া হয়। অপমানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কীটনাশক খেয়ে বধূটি আত্মঘাতী হন বলে পরিবারের দাবি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বীরভূমের নলহাটি থানার মাঠকলিঠা গ্রামের ওই ঘটনায় বধূটির শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত জুয়েল শেখকে ধরেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, শ্লীলতাহানির মামলাও হয়েছে।
পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শ্লীলতাহানির পরে ওই বধূ লজ্জায় কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের ওই বধূর স্বামী টিন-মিস্ত্রি। অনেক দিনই কাজের সূত্রে তিনি বাড়ির বাইরে থাকেন। দম্পতির এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ঘটনার দিন বধূর ছেলে বোনকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গিয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, সেই সুযোগে পড়শি জুয়েল শেখ বধূটির শ্লীলতাহানি করে।
মৃতার ভাসুর এবং জায়ের দাবি, বধূটিকে নিয়ে নলহাটিতে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার পথে বাধা দেন স্থানীয় সিপিএম নেতা তথা নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন শেখ-সহ গ্রামেরই কয়েকজন। গ্রামেই সমস্যা মেটাতে ‘চাপ’ দেওয়া হয় তাঁদের। সে সময়ে কী করবেন বুঝতে না পেরে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। সন্ধ্যায় ‘অত্যাচারিত’ বধূটি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা যায়, তিনি কীটনাশক খেয়েছেন। রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে আধ ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান। আত্মীয়দের ক্ষোভ, “পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়ে বাধা না পেলে হয়তো এমন হত না!”
সিপিএম নেতা আলাউদ্দিন শেখ বলেন, “ওঁদের বলেছিলাম, গ্রামের ব্যাপার গ্রামেই মিটে গেলে ভাল। অভিযোগ জানাতে বাধা দিইনি!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.