মহিষমর্দিনী পুজোয় টয়ট্রেন ও নাগরদোলা বসা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, শুক্রবার সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের রায়ে তা কাটল। এ দিন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী কৌশিক গণ, অরিন্দম বাজপেয়ীরা জানান, আদালতের নির্দেশে ওই জমির উপর থেকে স্থগিতাদেশ উঠে গিয়েছে। এ বার সেখানে টয়ট্রেন ও নাগরদোলা বসাতে কোনও অসুবিধা হবে না।”
প্রতি বছর মহিষমর্দিনী পুজোকে ঘিরে কালনা শহরের মানুষের মধ্যে উত্সাহের শেষ নেই। এ বার ২২ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত পুজো চলবে। পুজো মণ্ডপ ও আটচালার গা ঘেঁষে রয়েছে একটি ফাঁকা জমি। প্রতিবছর সেখানেই নাগরদোলা, টয়ট্রেন-সহ বেশ কিছু খাবারের স্টল বসে। কিন্তু ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই জমির দুই শরিক তা নিয়ে আপত্তি তোলায় জটিলতা শুরু হয়।
বিষয়টির সূত্রপাত গত বছর থেকে। ওই জমির এক শরিক গণেশচন্দ্র পান ও তাঁর বোন তাঁদের ১০ শতক জমির উপরে টয়ট্রেন ও নাগরদোলা বসানো নিয়ে আপত্তি তোলেন। গণেশবাবু জানান, ১৯ শরিকের ওই সম্পত্তির মোট পরিমাণ ছিল ৪০ শতক। তার মধ্যে ৮ শতক ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে। বাকি ২৯ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জমির মালিক তিনি ও তাঁর বোন কল্পনা চৌধুরী। গত বছর টয় ট্রেন বসানো নিয়ে আপত্তি তোলার পরেও পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করার পরে তিনি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই জায়গাটা ভাড়া দেন। কিন্তু এই বছর মে মাসে তিনি ফের তাঁদের জায়গা চিহ্নিতকরণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত ওই জমিতে কোনও কাজ করার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করে। এর পরে বিবাদী পক্ষের হয়ে কৌশিক গণ, অরিন্দম বাজপেয়ী-সহ বেশ কিছু আইনজীবী আদালতের কাছে ১ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত ওই জমির উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁরা বলেন, “পুজোর মতোই টয়ট্রেন ও নাগরদোলাও এখানকার ঐতিহ্য। তাই আমরা সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন করেছিলাম।”
এ দিন গণেশবাবুর আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, “আদালতের এই রায়ের ভিত্তিতে তাঁরা এ বার উচ্চ আদালতে যাবেন।” |