আজকের শিরোনাম
চাঁদপাড়ায় মুখ্যমন্ত্রী, নিশানায় বিরোধীরা
নির্বাচনী প্রচারে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ার মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে নানা বিষয়, নানা অভিযোগ—
• বিষয় রাজ্য সরকারের কাজের নিরিখে উন্নয়নমুখী পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতির খতিয়ান। সেখানে রয়েছে কর্মসংস্থান, সংস্কৃতি ও কর্মসংস্কৃতি, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি নানা বিষয়।
• অভিযোগ মূলত সব বিরোধীদের বিরুদ্ধেই। তাঁর বিচারের নিরিখে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে মাওবাদীরাও।
ভোটের প্রচারে নয়, বিরোধীদের এক তরফা মিথ্যা প্রচারের জবাব দিতে, বিরোধীদের বানানো ‘বেগুনপোড়া’য় তেল, লঙ্কা, পেঁয়াজের ‘জোগান’ দিতে, মানুষের সঙ্গে কথা বলতেই তাঁর চাঁদপাড়ার জনসভায় আসা। সারদায় কোটি টাকায় তাঁর ছবি কেনার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, চাইলে ছবি বেচেই তিনি কোটি কোটি টাকা রোজগার করতে পারতেন। কিন্তু তিনি জনসাধারণের সেবায় নিয়োজিত। সভায় তিনি দাবি করেন, কামদুনির বিক্ষোভে বহিরাগতরা ছিল। এক ধাপ এগিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, বারাসত কাণ্ডের পিছনে রয়েছে মজিদ মাস্টারের বাহিনী। অভিযোগ পর্বে এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেতৃ। তিনি বলেন, তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। উদ্বেগের বিষয়! কিন্তু উদ্বেগ আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনার পেছনে মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িত সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এমনকি ‘এবিপি’ও। তিনি আরও বলেন, তাঁকে খুন করে ক্ষমতায় আসাই বিরোধীদের এক মাত্র উদ্দেশ্য।
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠবে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই খুনের পরিকল্পনার খবর কি পুলিশ, গোয়েন্দারা জানেন না? যদি জানেন, তা হলে তার জন্যে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তাঁরা।

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বৈপ্লবিক প্রতিবাদ
কামদুনি কাণ্ডের জেরে অবশেষে আত্মপ্রকাশ করলেন পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের নিগৃহীতা মহিলা। দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘটনায় নিগৃহীতা ছিলেন অন্ধকারের আড়ালে। নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এ বার তিনি জনসমক্ষে এলেন। রক্ষণশীল সমাজের চিরন্তন ভাবনা চিন্তা, অভ্যাসের বিরুদ্ধে এ এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ। ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পার্ক স্ট্রিটের একটি ক্লাবে যান ওই মহিলা। এবং সেখান থেকে ফেরার পথেই ধর্ষিত হন। অভিযোগ জানাতে গিয়ে শুরুতে পুলিশের সহযোগিতা পাননি। পরে পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিলেও তদন্ত শুরুর আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাটিকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশের তত্কালীন গোয়েন্দা প্রধান দময়ন্তী সেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিনি জানিয়ে দেন, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগকারী মহিলাকে। তারপর আবার প্রশাসনিক অসহযোগিতা, ক্ষমতায় থাকা নেতা-মন্ত্রীদের কটূক্তিতে লাঞ্ছিত হয়েছেন পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের নিগৃহীতা। ঘটনার পর এক বছর অতিক্রান্ত। সুবিচার আজও জোটেনি তাঁর কপালে। অবশেষে রাজ্যে বেড়ে চলা ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল পথে নামলেন তিনি। মিছিলেও হাঁটলেন। মানুষ দেখল তাঁকে, জানল তাঁর নাম— সুজেট। তিনি পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের এক বৈপ্লবিক মুখ। তাঁরই কথায়, ধর্ষণ সমাজের ব্যাধি, সমাজের লজ্জা। তাই এই ধরনের ঘটনায় ধর্ষিতার লজ্জিত হওয়ার কী আছে? লজ্জা সমাজের।

বিহারে আজ আস্থা ভোট
জেডিইউ-বিজেপি ভাঙনের পরে বিধানসভায় নীতীশ কুমার আজ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে চলেছেন। কোনও অঘটন না ঘটলে আজ তাঁর সরকার টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে কোনও সমস্যা হবে না। ক্ষমতায় টিকে থাকতে নীতীশের প্রয়োজন অতিরিক্ত চার বিধায়কের সমর্থন। তিনি যে ভাবে আশ্বাস পেয়েছেন তাতে সমর্থন পেতে তাঁকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করছে নীতীশ ঘনিষ্ঠ মহল। কারণ ইতিমধ্যেই পাঁচ নির্দল বিধায়ক, সিপিআই এবং লোকজনশক্তি পার্টির ১ জন করে বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা নীতীশ সরকারকেই সমর্থন করবেন। এখন প্রশ্ন, কংগ্রেস কি নীতীশকে সমর্থন করবে? বাকি দলগুলির অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পরেই কংগ্রেস ঠিক করবে, আস্থা ভোটে তারা জেডিইউকে সমর্থন করবে, নাকি ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকবে। তবে নীতীশ কুমারের সরকার ‘ম্যাজিক নাম্বার’ ১২২-এ পৌঁছায় কি না তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

লিভ-ইন রিলেশনশিপও পাবে বিয়ের মর্যাদা, রায় আদালতের
লিভ-ইন রিলেশনশিপ আর সামাজিক প্রথা মেনে বিয়ে— থাকবে একই পঙক্তিতেই। গত কাল এমনই এক রায় দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, ২১ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ বছর বয়সী মহিলারা যখন স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে জড়ান, তাঁরা সম্পর্কের পরিণতি জেনেই জড়ান। সে ক্ষেত্রে ‘আগুনকে সাক্ষী করা, আংটি বদল’ প্রভৃতি সামাজিক প্রথা তখন গৌণ। এ সব ক্ষেত্রে যে কোনও পক্ষ পারিবারিক আদালতে গিয়ে তাঁদের সম্পর্ককে বিয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানাতে পারেন। তবে তাঁদের মধ্যে যে যৌন সম্পর্ক রয়েছে তার ‘প্রমাণ’ দাখিল করতে হবে। তা হলে সেই সম্পর্ক বিয়ে বলেই মান্যতা পাবে। তাই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে রীতিমতো বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হবে।

বিলেতে বাদ বিলিতি স্বাদ
বাঙালিরা তো বটেই, বেশির ভাগ ভারতীয়ই আজ ভুলতে বসেছে ঘরের খাবারের স্বাদ। উত্সব-অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মধ্যেই রাতের খাবার, দুপুরের খাবারও সেরে নেওয়া হয় রেস্তোরাঁয়। কখনও সপ্তাহান্তে ছুটির দিনের অজুহাতে, কখনও কাজের চাপে বাড়িতে রান্নার অনিহার অজুহাতে আমরা ছুটে যাই হোটেল-রেস্তোরাঁয়। ব্যস্ত হাত বা অজুহাতের চাপে ঘরোয়া খাবারের স্বাদ যখন প্রায় ভুলতেই বসেছি আমরা তখন ব্রিটেনে ভারতীয় ঘরোয়া খাবারের স্বাদ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন এক ভারতীয়। নাম সেলিনা ধুনা। ছোট বেলায় মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ এখনও ভোলেননি তিনি। সেই স্বাদ আর তৃপ্তি লন্ডনের সর্বত্র পৌঁছে দিতে তাই ২০১৩-র ফেব্রুয়ারিতে ‘ইন্ডিয়ান হোম কুকস’-এর প্রতিষ্ঠা করেন সেলিনা। ন্যায্য মূল্যে ঘরোয়া স্বাদ, আর সেই স্বাদ সবার কাছে পৌঁছে দিতে অভিজ্ঞ সেফ নিযুক্ত তাঁর প্রতিষ্ঠানে। এই ক’দিনের মধ্যেই হোম ডেলিভারি থেকে বিভিন্ন উত্সব-অনুষ্ঠান বা কর্পোরেট পার্টিতে বেশ সুনামের সঙ্গেই জায়গা করে নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান হোম কুকস’-এর বিশাল খাদ্য তালিকার হারিয়ে যাওয়া অনেক সুস্বাদু খাবার। একটি ফোনেই লন্ডনের যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে সেলিনার ‘ইন্ডিয়ান হোম কুকস’। যেখানে বর্তমানে ইতালীয়, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল খাবারের চাপে দেশেই হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যের ঘরোয়া খাবার, সেখানে ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতীয় খাবারের সাম্রাজ্য বিস্তার করছে ‘ইন্ডিয়ান হোম কুকস’।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.