অচেনা যুবকদের আনাগোনার খবর
বুড়িশোলের জঙ্গলে তল্লাশি যৌথ বাহিনীর
বিবার রাত তখন ১০টা ৫৫। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বসে রয়েছেন ফেডারেশন অফিসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। খানিক আগেই খবর এসেছে, শালবনির বুড়িশোলে কয়েকজন যুবক ঘোরাফেরা করছে। মুখে গামছা বাঁধা। একজনকে মারধর করা হয়েছে। ওই যুবকেরা একজনের বাড়িতে গিয়ে জল চেয়েছে। একটি বাড়িতে গিয়ে নগদ টাকাও চাওয়া হয়েছে। তখনই এক তৃণমূলকর্মী এসে বলে গেলেন, “দাদা এখনও ওরা আছে।” উদ্বিগ্ন বিধায়ক ফোন করলেন জেলা পুলিশ সুপারকে। ফোনের ও প্রান্তে আশ্বাস, “ঠিক আছে। ফোর্স পাঠাচ্ছি।”
রবিবার রাতে আর যাওয়ার ঝুঁকি নেয়নি পুলিশ। সোমবার ভোর হতেই বুড়িশোলে পৌঁছয় যৌথ বাহিনী। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে। জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “একটি খবরের ভিত্তিতে বুড়িশোলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। নজরদারি চালানো হচ্ছে।” অপরিচিত যুবকেরা কী মাওবাদী? জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “আমরা নিশ্চিত নই। তবে সব দিক খতিয়ে দেখছি।” বুড়িশোলের বাসিন্দারাও মুখ খুলতে নারাজ। তবে মৃগেনবাবু বলেন, “নতুন করে জঙ্গলমহলে অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। রবিবার রাতে আমার কাছে খবর এসেছিল, বুড়িশোলে কয়েকজন যুবক মুখে গামছা বেঁধে ঘোরাঘুরি করছে। দেরি না করে সেই খবরটিই পুলিশের কাছে পৌঁছে দিই। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”
শালবনির এই এলাকার অদূরে গভীর জঙ্গল। আশপাশে কৃষ্ণনগর, চৈতার মতো এলাকা। এখানে এক সময় মাওবাদীদের অবাধ যাতায়াত ছিল। ক’দিন আগে ছত্তীসগঢ়ে ও বিহারে মাওবাদী হামলা হয়েছে। এ রাজ্যে আবার সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ফলে, মাওবাদী হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলের বেশ কিছু এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। সেই তালিকায় রয়েছে মেটালা, ঝিটকা, করমাশোল, লক্ষ্মণপুর প্রভৃতি এলাকা। গত ক’মাস ধরে মাওবাদীদের গতিবিধি নিয়েও জেলা পুলিশের কাছে বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর আসছে। আসছে গোয়েন্দা সতর্কবার্তাও। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, উদ্বেগের কিছু নেই। সর্বত্র নজরদারি চলছে।

গোষ্ঠী সংঘর্ষ সন্ধিপুরে
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধল গড়বেতার সন্ধিপুরে। সোমবার এই ঘটনায় দু’পক্ষের ১০ জন আহত হন। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গড়বেতা ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ পালের অভিযোগ, “দলীয় প্রার্থীরা প্রচারে গেলে নির্দল প্রার্থীরা দলবল নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়। প্রচণ্ড মারধর করে। ৭ জন কর্মী জখম হয়েছেন।” নির্দল প্রার্থী বুলুরানি ঘোষের পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে এতদিন হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এ বার প্রচারের নামে আক্রমণে নামল। এতে আমাদের কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছেন।” অন্য দিকে সবংয়ের রায়বাড়ে কংগ্রেস মর্থকদের উপর তৃণমূল আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে কংগ্রেস সমর্থকেরা প্রচার করতে গেলে প্রার্থী কালীপদ সাঁতরা-সহ একাধিক কর্মী-সমর্থককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পাণ্ডার অভিযোগ, “তৃণমূল প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।” যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রভাত মাইতির বক্তব্য, “এ সবই অপপ্রচার। সামান্য কিছু হলেই কয়েকজনকে হাসপাতালে শুইয়ে নাটক করছে কংগ্রেস।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.