বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও মারধরের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাকে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে তার ভাই ও দিদির বিরুদ্ধে। ওই বধূকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকিরা পলাতক। ইতিমধ্যে ওই নাবালিকার মৃত্যুও হয়েছে।
ঘটনাটি মুরারই থানা এলাকার। পুলিশ জানায়, মৃত ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্ততে মুরারই থানা এলাকার বধূ সফেদা বেওয়াকে ধরা হয়েছে। মৃত ওই বালিকার বাবার অভিযোগ, “প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে বড় মেয়েকে বছর চারেক আগে খুড়তুতো বউদি সফেদা নিজের কাছে রেখে দেন। বছর খানেক ধরে ওই বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে ওই বধূর ভাই সাদ্দাম শেখের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়ের সঙ্গে সহবাস করে সাদ্দাম। মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ায় ভয় দেখিয়ে ওরা হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনে বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। তার পর থেকে মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ত। কিন্তু মেয়ে আমাদের কিছু বলেনি। ১৩ জুন বাড়াবাড়ি হওয়ায় মেয়ে সব জানায়। তাকে বহরমপুর, কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে পাইকর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মেয়েকে বিয়ে করার জন্য সাদ্দামকে বলা হয়েছিল। সে সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বলে।” ইতিমধ্যে রবিবার দুপুরে হাসপাতালে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়।
মুখে মৃতার পরিবারের লোকেরা ওষুধ খাইয়ে বাচ্চা নষ্ট করার কথা করলেও পুলিশের কাছে শুধু বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও মারধরের অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানায়, মুর্শিদাবাদের সুতি থানার হাড়োয়া গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম শেখ ও তার ভাই মুজিবর শেখ পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। |