অভিযোগ তুলতে ‘চাপ’ তৃণমূলের
স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে, অভিযুক্ত যুবক
প্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভুল বুঝিয়ে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ওই কিশোরীকে খুঁজে বের করে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কিশোরীর বাবা। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত যুবকের সুকান্ত লোহারের বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে ও বাল্যবিবাহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীর বক্তব্য, “আমি এই বিয়ে মানি না। সুকান্তের শাস্তি চাই।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল দুর্গাপুরের সি-জোন মেন শান্তিপথ এলাকার বাসিন্দা সুকান্ত বেনাচিতির একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জোর করে আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে বলে অভিযোগ। কিশোরীর দাবি, তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুরোহিত বিয়ে দিতে অস্বীকার করেন। তখন তাঁর হাতে বেশি টাকা গুঁজে দিয়ে কাজ হাসিল করে সুকান্ত। এর পরে তাকে নিয়ে সে পুরুলিয়া চলে যায়। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তারা এক সঙ্গে ছিল।
ওই কিশোরীর বাবা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না খবর পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগও করতে যান। তাঁর দাবি, পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরি করতে বলে। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে গিয়ে অভিযোগ করেন। আদালত কিশোরীকে খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়। ৩ মে ওই কিশোরীকে খুঁজে বের করে পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগ, “এর পর থেকেই তৃণমূলের তরফে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমার ছেলেকে মারধরও করা হয়েছে।” ওই কিশোরী বলে, “আমি অপ্রাপ্তবয়স্ক। এই বিয়ে মানি না। তৃণমূলের লোকজন বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলছে। না হলে আমার আর বিয়ে হবে না বলেও বলছে ওরা।”
তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু আচার্যের যদিও দাবি, এলাকার বাসিন্দা হিসেবে ওই কিশোরী ও যুবকটিকে ডেকে পাঠিয়ে তিনি কথা বলেছেন বটে। কিন্তু বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার বলেননি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.