|
উজ্জ্বল রায় |
এক টুকরো ফাঁকা জমি দেখলেই তাঁর মন উসখুস করে। সেই জায়গায় কী ভাবে একটি গাছ লাগানো যায়, সেই চেষ্টাতেই তিনি মত্ত থাকেন। এলাকায় ‘গাছ পাগলা’ নামে পরিচিত সেই অবসর প্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক উজ্জল রায় সিউড়ির বাসিন্দা। সিউড়ির কড়িধ্যা যদু রায় হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার সময় থেকেই তাঁর এই শখ। ওই স্কুলের বিস্তর ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে তিনি সবুজায়নের চেষ্টা শুরু করেছিলেন। এমনকী অন্য স্কুল ও সরকারি ফাঁকা জায়গাতেও বহু গাছ লাগিয়েছেন। অবসরের পরেও উজ্জ্বলবাবু সেই কাজ করে চলেছেন দ্বিগুন উৎসাহে। সবটাই করেন নিজের খরচেই। গাছের প্রতি এমন প্রেমের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দিকেও আগ্রহ রয়েছে উজ্জ্বলবাবুর। মূলত তাঁরই উদ্যোগে কড়িধ্যা কালীপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে ‘চেতনা’ নামে একটি সংস্থা। ওই গ্রামের পিছিয়ে থাকা পরিবারের শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের নিয়ে হারিয়ে যাওয়া লোক সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের কাজ করে এই সংস্থা। বীরভূম জুড়ে সেই সংস্থার নামডাক আছে। ঠিক একই ভাবে প্রয়াত স্ত্রী কাজরী-র নামে উজ্জ্বলবাবু গড়ে তুলেছেন আরও একটি লোকসংস্কৃতি সংস্থা।
|
রামপুরহাটের একটি অনামি নাট্য সংস্থা প্রযোজিত ‘পুতুল নাচের কাব্যি’র ৭৫তম উপস্থাপনা হয়েছে গত রবিবার সন্ধ্যায়। কাজল মোহান্তির লেখা ছোট নাটক ‘পুতুল নাচের কাব্যি’কে নিজস্ব ভাবনায় উপস্থাপনা করছেন নির্দেশক সৈয়দ টুলু। তিনি যখন ১৯৮৫ সালে ওই নাটকটি প্রথমে মঞ্চস্থ করেছিলেন তখন রামপুরহাট ও আশপাশ এলাকায় বেশ কয়েকটি নাট্য সংস্থা চুটিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল। তার মধ্যে ‘পুতুল নাচের কাব্যি’ প্রথম থেকে দর্শকদের নজর কেড়েছিল রাজ্যজুড়ে। |
পুতুল নাচের কাব্যি নাটকের একটি দৃশ্য।—নিজস্ব চিত্র। |
মাঝে নানা কারণে দশ বছর অভিনয় বন্ধ ছিল। ৭৫তম অভিনয়ে, রক্তকরবী পুর-মঞ্চে হাজির ছিলেন বিখ্যাত মূকাভিনেতা যোগেশ দত্ত। তিনি নাটকটি দেখে, সৈয়দ টুলুর কাছ থেকে নাটের পাণ্ডুলিপি চেয়ে নিয়ে লিখেছেন, “এ যেন আইনায় নিজেকে দেখলাম।” আসলে ওই নাটকটি শ্রমজীবী মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর নাটক। |