বেশ কয়েক বার প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে উদ্যোগ তৈরি হলেও, আলিপুরদুয়ার শহরে ক্যারিব্যাগের ব্যবহার অবাধেই চলছে বলে পরিবেশ প্রেমীদের অভিযোগ। শহরের পুরসভা কর্তৃপক্ষওএ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগী হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। মাছ বাজার থেকে মিষ্টির দোকান সর্বত্রই ক্যারিব্যাগ ব্যবহার ছাড়াও প্লাস্টিকের তৈরি গ্লাসেরও যত্রতত্র ব্যবহার চলছে বলে অভিযোগ। জঞ্জালের স্তূপে মিশে থাকা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নর্দমায় পড়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে জল নিকাশিতে। পুরসভার মতোই প্রশাসন কর্তাদের প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি।
এ দিন পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বেশ কয়েক বার প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার জন্য অভিযান চালানো হয়। ব্যবসায়ীদের সর্তকও করা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার জন্য তা আর সম্ভব হয়নি। মহকুমা প্রশাসনের তরফেও নিয়মিত অভিযান না হওয়ায় পুরসভার পক্ষে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হলে পুরসভা ফের মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করে অভিযান করবে।” ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক শিশির লেপচা বলেন, “পুরসভা আলোচনা করলে ফের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।”
স্থানীয় বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে পুরসভা কড়াকড়ি করায় আমরাকাগজে মুড়ে মাছ বিক্রি করতাম। কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় বাধ্য হয়ে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ হলেও তা বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ দেখা যায়নি। পুরসভা বা মহকুমা প্রশাসনের কড়াকড়ির পর ফের রমরমিয়ে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। লোকে ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করে যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছেন। নর্দমা আটকে যাচ্ছে। অল্প বর্ষা হলেও নর্দমার জল বেরোতে পারছে না। সচেতনা মূলক প্রচার শুরু করতে হবে।” আলিপুরদুয়ার চেম্বার অফ কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, “শহরকে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ থেকে দূষণ মূক্ত করার জন্য প্রশাসনকে সবরকম সাহায্য করা হবে।” |