দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন আট জন। শনিবার রাতে কেতুগ্রামের দক্ষিণডিহি গ্রামের ঘটনা। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই রাতেই তৃণমূলের তরফে কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়, সিপিএম এবং নির্দল গোষ্ঠী একজোট হয়ে তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, গ্রামীণ বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে দক্ষিণডিহি দাসপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গ্রামীণ বিবাদ থেকে বচসা শুরু হয়। তা থেকে মারপিট বেধে যায়। দু’পক্ষের মোট আট জন জখম হন। পাঁচ জনকে নিজেদের সমর্থক দাবি করে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা রাতেই কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে সাক্ষ্মী দাস, সন্তোষ দাস ও বিফল দাস গুরুতর জখম অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জখমেরা দাবি করেন, সন্ধ্যায় তাঁরা পাড়ায় ভোট নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখনই বহিরাগতেরা তাঁদের উপরে হামলা চালায়। |
কেতুগ্রাম থানায় তৃণমূলের তরফে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে তাদের লোকজন দক্ষিণডিহি গ্রামের দাসপাড়ায় দলের পতাকা টাঙিয়েছিল। সিপিএম সেই পতাকা খুলে দেয়। তার পরে সন্ধ্যায় তৃণমূল সমর্থকদের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কেতুগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি দেবাশিস মণ্ডল অভিযোগ করেন, “সিপিএম এবং নির্দল মিলে এই হামলা চালিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছে।”
কেতুগ্রাম ২ ব্লকের নিরোল পঞ্চায়েত এলাকায় এই দক্ষিণডিহি গ্রাম। ২০০৮ সালে নিরোল পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করেছিল কংগ্রেস। এ বার পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসের একাংশ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের অনেকে ভোটে প্রার্থীও হয়েছেন। তৃণমূলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কারণে দলের প্রতীক না পাওয়া কিছু পুরনো তৃণমূল কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। দলের ব্লক সভাপতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্দল প্রার্থীরা অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি। তবে সিপিএমের কেতুগ্রাম ২ লোকাল সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক তমাল মাঝির দাবি, “গ্রামীণ বিবাদের মধ্যে রাজনীতি টেনে এনে তৃণমূল আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে।” পুলিশ জানায়, গ্রামীণ বিবাদ থেকেই এমন ঘটেছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। |