পাড় বাঁধানোর দাবি বুদবুদে |
ভারী গাড়ি চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
পুকুরের পাশেই রাস্তা। তার উপর দিয়েই যাতায়াত করছে গরুর গাড়ি, ছোট গাড়ি, ট্রাক্টর থেকে মোটরভ্যান। আর তাতেই ক্রমশ ছোট হতে হতে পুকুরের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে রাস্তা। এমনই অবস্থা বুদবুদ পঞ্চায়েতের শুকডাল গ্রামের বাগদিপাড়ার। এলাকাবাসীর দাবি, এখনই পুকুরের পাড় বাঁধানো না হলে রাস্তাটা মিশে যাবে পুকুরের সঙ্গে।
বাগদিপাড়ায় দুই পুকুরের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে গ্রামের রাস্তা। পাড়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া গ্রামের মূল রাস্তাটি মোরামের। তার উপর দিয়ে সারা দিন প্রচুর ট্রাক্টর, ছোট গাড়ি, মোটরভ্যান, গরুরগাড়ি যাতায়াত করে। বাসিন্দারা জানান, গোটা রাস্তাটি মোরামের হলেও তা খুব একটা খারাপ নয়। কিন্তু এই রাস্তার দু’পাশে দু’টি পুকুর আছে। কাজেই পুকুরের জল বাড়লেই পাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে। ফলে রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এখনই যদি নজর দেওয়া না হয়, তা’হলে হয়ত রাস্তাটি পুকুরে মিশে যাবে। এলাকার দীনেশ বাগদি, চন্দ্রকান্ত বাগদিরা বলেন, “যে ভাবে পুকুরের পাড় ক্ষয়ে রাস্তা সংকীর্ণ হচ্ছে, যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তার পাশে পুকুরের পাড়গুলি পাকা করে বাঁধিয়ে দেওয়া হলেই রাস্তাটি বেঁচে যাবে।” তৃণমূল পরিচালিত বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, পুকুরের পাড়ে ‘গার্ড ওয়াল’ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট চলে আসায় তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। |
শুকডাল গ্রামে এই পুকুরপাড়ের রাস্তা নিয়ে সরব বাসিন্দারা।—নিজস্ব চিত্র। |
অন্য দিকে, বাগদিপাড়া থেকে মুসলিম পাড়া যাওয়ার মূল রাস্তাটিও বেশ নিচু। তার পাশেই রয়েছে চাষের খেত। অন্য দিকে, পুকুর। একটু বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির জল ও পুকুরের জল দাঁড়িয়ে যায় রাস্তায়। যাতায়াতে অসুবিধা হয়। আর তাতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দু’টি রাস্তা। আর একটু বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ার ফলে বছরের বেশিরভাগ সময়েই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে থাকে। এলাকার শিবানী বাগদি, লক্ষ্মী বাগদিরা বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই এই জল দাঁড়িয়ে যায়। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। অন্য পাড়া হয়ে ঘুরে যেতে হয়। সামনেই বর্ষা। জানি না কী হবে।” এই এলাকার বাসিন্দা দীপক বাগদি, সুরজিৎ বাগদিরা বলেন, “রাস্তায় জল জমে থাকার ফলে দু’টি পাড়ার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।” বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তাটি উঁচু করে পাকা করে দেওয়া হলে তাঁদের খুবই সুবিধা হয়। এই প্রসঙ্গে কাশীনাথবাবু বলেন, “জেলা পরিষদের কাছে এই রাস্তাটি পাকা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আপাতত মোরাম দিয়ে রাস্তাটিকে সংস্কার করা হবে।” |