রোগীদের কারও সঙ্গেই ওঁদের রক্তের সর্ম্পক নেই। তবু তাঁদের জন্যই রক্ত দিচ্ছেন ওঁরা।
ওঁদের নাম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ বাদশা, কালীপদ মালিক, শেখ হানিফ এবং সুবীর ধাড়া। কেউ চালান নিজের গাড়ি, কেউ বা অ্যাম্বুল্যান্স। ওঁদের রক্তে প্রাণে বেঁচেছেন অনেকে।
আরামবাগে এখন রক্তের অভাব। গত মঙ্গলবার থেকে রক্ত নেই আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগামী রবিবার পর্যন্ত পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনও আশা নেই। এই সময়ের মধ্যে রক্তের প্রয়োজন হলে রোগীর বাড়ির লোককেই জোগাড় করে নিতে হবে রক্তদাতাএমনই নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারকেশ্বর থেকে আসা সুকৃতি চক্রবর্তী তাঁর থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলে সুমনকে বুকে জড়িয়ে কাঁদছিলেন আরামবাগ হাসপাতাল চত্বরে। ছেলের জন্য রক্ত প্রয়োজন। কিন্তু কোথায় পাবেন? একই সমস্যায় পড়েন খানাকুলের কাকলি ক্ষেত্রপাল। তাঁর তিন বছরের ছেলের জন্যও প্রয়োজন রক্ত। তা জানতে পেরে রক্ত দেন ওই চালকেরা। সুকৃতিদেবী বলেন, “ওই ভাইদের ঋণ ভোলার নয়।”
আশিস, বাদশারা বলেন, “নিয়মিত আসা থ্যালাসেমিয়া রোগীর বাড়ির লোকদের বলেই রেখেছি, রক্ত না পেলে কেউ ফিরে যাবেন না। আমরা আছি।” ‘ভাই’দের এই কাজ এ বার প্রথম নয়। সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “রক্তের সঙ্কট দেখা দিলে অনেক সময় চালকেরাই এগিয়ে আসেন। স্থানীয় মানুষও সাহায্য করেন।” তিনি জানান, মহকুমার বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠনের রক্তদান শিবির থেকে শেষবার রক্ত সংগ্রহ হয়েছে দিন আটেক আগে। আজ, রবিবার একটি শিবির রয়েছে।
একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। রক্তসঙ্কট মেটাতে এগিয়ে আসেন হাসপাতালের অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিকেরা। সারা বাংলা হাসপাতাল রোগী কল্যাণ ও অস্থায়ী ঠিকা কর্মী ঐক্য কেন্দ্রের উদ্যোগে হাসপাতালের ৫২জন ঠিকা শ্রমিক রক্ত দান করে হাসপাতালের রক্ত সঙ্কট মেটান।
|
মাদকবিরোধী প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাদকবিরোধী প্রচারে শনিবার শহরের নানা প্রান্তে পাঁচটি ক্যাম্প খুলল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের কর্তারা জানান, উত্তরের মসজিদবাড়ি স্ট্রিট, পূর্বে বেলেঘাটা মেন রোড, বন্দরের একবালপুরের জ্ঞান ঘোষ পলিটেকলিক কলেজ, দক্ষিণে কালীঘাট রোড ও দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশনের ঠাকুরপুকুরের সৃজনী পার্কে ক্যাম্পগুলি খোলা হয়েছে। ছিলেন ডিসিডিডি (স্পেশ্যাল) সন্তোষ পাণ্ডে ও সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের ডিসি-সহ পদস্থ কর্তারা। পুলিশ জানায়, এ মাসের ২৬ তারিখ মাদকবিরোধী দিবস। তাই এই প্রচার। |