যশোহর রোডে ওষুধ সংস্থার এক কর্মীর কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দিল মোটরসাইকেল আরোহী দুই দুষ্কৃতী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ যশোহর রোডের বাঙুর বাসস্টপে। এ দিন রাত পর্যন্ত ছিনতাইবাজদের হদিস পায়নি বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। লেকটাউন, বাঙুর এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
ওষুধ সংস্থার কর্মী রাজেন্দ্র চৌধুরী পুলিশকে জানান, নাগেরবাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে ফিরছিলেন। নাগেরবাজার থেকে অটোয় ওঠেন। তাঁর অভিযোগ, যশোহর রোডের বাঙুর বাসস্টপে অটো থেকে নামতেই পিছন থেকে মোটরবাইক-আরোহী দুই যুবকের এক জন হ্যাঁচকা টানে তাঁর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তার পরে ওই দুষ্কৃতীরা নাগেরবাজারের দিকে পালায়।
রাজেন্দ্রবাবুর চিৎকারে পথচলতি মানুষ জড়ো হন। বিধাননগর কমিশনারেটের একটি টহলদারি ভ্যানও হাজির হয় ঘটনাস্থলে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে প্রথমে নাগেরবাজারের ব্যাঙ্কে যায়। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে সন্দেহজনক এক ব্যক্তির কথা জানা গিয়েছে। ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্কের মধ্যেই বসে ছিলেন। পুলিশের অনুমান, ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ওপর তিনি নজর রাখছিলেন। ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির ছবি রাজেন্দ্রবাবুকে দেখানো হয়। তিনি তাঁকে চিনতে পারেননি। পুলিশকে রাজেন্দ্রবাবু জানান, দুষ্কৃতীদের মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি তাদের মুখ দেখতে পাননি। তবে এক দুষ্কৃতী কালো গেঞ্জি পরেছিল বলে জানান তিনি।
মোটরবাইকে চড়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা আগেও লেকটাউন, বাঙুর এলাকার অলিগলিতে ঘটেছে। এ বার যশোহর রোডের মতো রাস্তাতেও তার পুনরাবৃত্তি হল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়লেও প্রশাসন নির্বিকার। তবে বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তার দাবি, “পুলিশি টহলের অভাব নেই। নজরদারিও করা হয়। এ দিনের ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” |