রোওহানি |
ইসলামি কট্টরপন্থীদের হারিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন হাসান রোওহানি। মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত রোওহানি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের আমলে আমেরিকা-ইরান সংঘাতের তীব্রতা অনেক বেড়েছে। পরমাণু প্রকল্প ছেড়ে ইরান পিছু না হটায় জারি হয়েছে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। কূটনীতিকদের ধারণা, বিদেশনীতির অবস্থান রোওহানির নির্বাচনের ফলে বিশেষ বদলাবে না। কারণ, বিষয়টির উপরে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনির। তবে অর্থনীতি ও সমাজে সংস্কারের অধিকার আছে প্রেসিডেন্টের। সে পথে হাঁটতেই পারেন রোওহানি। পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমী দুনিয়া তথা রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে মুখ্য আলোচনাকারী ছিলেন রোওহানি। তখন তাঁকে জেনেছেন অনেক পশ্চিমী কূটনীতিকই। ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র জানিয়েছেন, রোওহানি দেশপ্রেমিক। তবে প্রয়োজনে সমঝোতার পথেও হাঁটতে জানেন। তাঁর নেতৃত্বে নতুন পথে হাঁটতে পারে ইরান।
|
মাচু পিছুর পর মহেন্দ্র পর্বত! পেরুর ইনকা সভ্যতার মতোই কম্বোডিয়ার এই পর্বত শহর গা ঢাকা দিয়েছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। খোঁজ মিলল অন্তত ১২০০ বছর পরে। সন্ধান পেলেন ফরাসি পুরাতত্ত্ববিদ জিন বাপিস্ত শেভাঁস। লেসার টেকনোলজি ‘লেডার’-এর মাধ্যমে তাঁরা খুঁজে পেলেন শহরটিকে। লন্ডনের ‘আর্কিওলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর জিন এই গবেষণায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। খমের রাজাদের আমলে গড়ে উঠেছিল আঙ্কোর ভাট মন্দির। ৮০২ শতাব্দীর সেই আঙ্কোর সাম্রাজ্যেরও সাড়ে তিনশো বছর আগে তৈরি হয় মহেন্দ্র পর্বত। জিন বলেন, “জানতাম, সম্রাট দ্বিতীয় জয়বর্মনের রাজধানী ছিল এক পর্বত শহর। কিন্তু কী ভাবে শহরটা গড়ে উঠেছিল, তার জবাব নেই।” সড়ক ও খাল পথে শহরের প্রত্যেকটা অংশ একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বন্যার হাত থেকে বাঁচতে ঘেরা ছিল বিশাল প্রাচীরে। তবু ধ্বংস হয়ে যায় শহর। কারণ অস্পষ্ট। গবেষকদের সন্দেহ জলাভাব, গাছ কেটে ফেলা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিণতি হতে পারে মহেন্দ্র পর্বতের অবলুপ্তি। যদিও শহর ধ্বংস হলেও, কেউ কখনও হানা দিতে পারেনি পর্বত-শহরে। |