টুকরো খবর
চা-বাগানে ৭ ঘণ্টা ঘেরাও বনকর্মীদের
চা বাগানে ঢুকে চারটি বাড়ি ভাঙল দাঁতাল হাতি। এর পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৭ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হল বিট অফিসার-সহ চার জন বনকর্মীকে। বুধবার রাতে ডুয়ার্সের বড়দিঘি বাগানে রঘুনাথ লাইনে ঘটনাটি ঘটে। বাগানের শ্রমিকেরা জানান, বাড়ির আসবাবপত্র, গুড়িয়ে দেয় হাতি। বড়দিঘি বিট অফিস আধিকারিক লক্ষণ ঘোষের নেতৃত্বে বন কর্মীরা বৃহস্পতিবার চা বাগানের পরিস্থিতি দেখতে গেলে তাঁদেরকে ঘেরাও করেন বাসিন্দারা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঘেরাও চলতে থাকে। ক্ষতিগ্রস্ত রাজু মুখিয়া জানান, হাতি প্রায় সর্বস্ব নষ্ট করেছে। দ্রুত ক্ষতিপূরণ না মিললে বৃষ্টির সময়ে বাড়িতে থাকাই সমস্যা হয়ে যাবে। বনকর্মীরা লাটাগুড়ি রেঞ্জে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে মেটেলি ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠাবার আশ্বাস দেওয়া ছাড়াও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়। এর পরে ঘেরাও মুক্ত হন বনকর্মীরা। এলাকার পাশেই গরুমারার জঙ্গল। সেই কারণে প্রায় দিনই হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বন দফতরের টহলদারি না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। জলপাইগুড়ি বনবিভাগ ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। টহলদারির বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

চা বাগানে চিতাবাঘের হানা, জখম
চিতাবাঘের হানায় জখম হলেন এক চা শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কালচিনি ব্লকের সুভাষিণী চা বাগানে। জখম ওই চা শ্রমিককে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বন্যপ্রাণ-৩ বিভাগ-এর নীলাপাড়ার রেঞ্জের অফিসার কমলকান্তি সরকার জানিয়েছেন, জখম চা শ্রমিকের নাম ফিলসিতা ওরাঁও। সকাল দশটা নাগাদ বাগানের ১২ নম্বর সেকশনে শ্রমিকরা চা-পাতা তোলার কাজ করছিলেন। সেই সময় বাগানের নর্দমা থেকে একটি চিতাবাঘটি বার হয়ে আচমকা ওই শ্রমিকের ঘাড়ের দিকে থাবা বসিয়ে দেয়। অন্য শ্রমিকেরা চিৎকার করে উঠতেই চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। চিতবাঘটিকে ধরার জন্য এ দিন চা বাগান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বন বিভাগকে খাঁচা পাতার কথা বলা হয়।

টিকটিকি উদ্ধার
একটি মনিটর লিজার্ড ও একটি টোকে গেকো উদ্ধার করলেন পশুপ্রেমীরা। ঘটনাটি মণিপুরের থৌবাল জেলার এই ঘটনা সম্পর্কে পিপ্ল ফর অ্যানিম্যালের তরফে জানানো হয়েছে, থৌবালে এক ব্যক্তির বাগানে ঢুকে পড়েছিল মনিটর লিজার্ডটি। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, ওয়াংমাতাবা এলাকা থেকে একটি লেজহীন টোকে গেকোকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকেও জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

গাছ কাটা হবে কি না, বৈঠকে সমাধান অধরা
জেমস লং সরণির গাছ কাটা নিয়ে বৃহস্পতিবারেও কোনও রফাসূত্র বেরোল না। ফলে প্রস্তাবিত রাস্তা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল। এ দিন সকালে পূর্ত দফতরের বাস্তুকারেরা সমীক্ষার জন্য ওই এলাকায় যান। তাঁরা জেমস লং সরণি গাছ বাঁচাও ক্লাব সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকেও বসেন। কিন্তু বৈঠকে গাছ না-কাটার দাবিতে অনড় থাকেন কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, এক মিটার রাস্তা চওড়া করার কথা বলা হচ্ছে। গাছ রেখেই সেটা করা যাবে। রাস্তার মাঝখান দিয়ে নর্দমার ব্যবস্থা করলে আর গাছ কাটার কোনও দরকারই নেই। পূর্ত বাস্তুকারেরা অবশ্য জানান, গাছ না-কেটে রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। এর আগেও দু’বার পূর্ত দফতর এবং স্থানীয় ক্লাবগুলির বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। ১৩ জুন, দ্বিতীয় বৈঠকের পরে যৌথ সমীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.