বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলার পরেই মৃত্যু দাঁতালের
ফের বাঁকুড়ার জঙ্গলে একটি হাতির মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার সকালে বেলিয়াতোড় থানার কোদালিয়া গ্রামের কাছে একটি হাতিকে মৃত অবস্থায় বাসিন্দারা দেখতে পান। তাঁদের অনেকের দাবি, হাতিটি বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছিল। সে কারণেই পরে তার মৃত্যু হয়। তবে বন দফতর হাতির মৃত্যুর এই কারণ এখনই মানতে চায়নি। গত কয়েক মাসের মধ্যে বাঁকুড়া জেলায় এ নিয়ে তিনটি হাতির মৃত্যু হল।
বৃহস্পতিবার কোদালিয়া গ্রামে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি রেসিডেন্ট হাতি এলাকার জঙ্গলে বেশ কয়েক বছর ধরে রয়েছে। মৃত দাঁতালটি ওই দলেই ছিল। কোদালিয়া গ্রাম লাগোয়া এলাকায় বুধবার বিদ্যুত্‌ পরিবাহী তারের একটি খুঁটি হাতিটি উপড়ে ফেলে বলে বাসিন্দাদের দাবি। গ্রামবাসী তাপস পাল, প্রশান্ত লোহার বলেন, “এলাকার জঙ্গলে থাকা তিনটি রেসিডেন্ট হাতির মধ্যে এটিই ছিল খুব শান্ত। খাবার খেতে মাঝে মাঝে গ্রামে ঢুকলেও খুব বেশি ঝামেলা করত না। তাড়িয়ে দিলে জঙ্গলে চলে যেত। কিন্তু হঠাত্‌ সে বিদ্যুতের খুঁটিতে কেন টান দিল তা বুঝতে পারছি না।” গ্রামবাসীরা জানান, শুঁড়ের টানে খুঁটিটি উল্টে যাওয়ায় হাতিটির মাথায় ও পিঠে তারের স্পর্শ লাগে। এরপরে হাতিটি সারাদিন পাশের একটি পুকুরে গা ডুবিয়ে পড়ে থাকে। সন্ধ্যায় তাঁরা হাতিটিকে খেদিয়ে পাড়ে তুলে দেন। তারপরে হাতিটিকে জঙ্গলে ওর সঙ্গীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন সকালে জঙ্গলের মধ্যে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দারা প্রথমে ভেবেছিলেন বোধহয় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে বনকর্মীরা আসেন। পশু চিকিত্‌সক এসে পরীক্ষা করে দেখেন, হাতিটি মারা গিয়েছে।
ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “এই জঙ্গলে তিনটি রেসিডেন্ট দাঁতাল একসঙ্গে ঘুরত। মনে হয় হাতিটি বার্ধক্য জনিত কারণে মারা গিয়েছে। পশু চিকিত্‌সকরা ময়না তদন্ত করেছেন। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।” ময়না তদন্তে আসা বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড়ের দুই প্রাণী চিকিত্‌সক সঞ্জয় শীট ও নিত্যানন্দ দে বলেন, “বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লেগেও হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.