টুকরো খবর
বেহাল রাস্তা, সমস্যায় বাসিন্দারা
খন্দে ভরা রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার মাঝে মাঝেই বড় গর্ত। উঠে গিয়েছে পিচের চাদরও। নওদার ত্রিমোহিনী থেকে সর্বাঙ্গপুর যাওয়ার ৫ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এমনই। দুধসর, সর্বাঙ্গপুর, রাজনগর গ্রামের মানুষ এই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। এই রাস্তা দিয়েই যেতে হয় সর্বাঙ্গপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রাণ হাতে নিয়েই এই এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়ে যাতায়াত নিত্যযাত্রীদের। বছর দশেক আগে যখন সাংসদ কোটার টাকায় মেরামত করা হয়েছিল রাস্তাটি তখন বাস চলাচল করত। কয়েকদিনের মধ্যেই তা বেহাল হয়ে যায়। এখন রাস্তা দিয়ে চলে গুটিকয়েক ট্রেকার। বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় রাস্তার বড় বড় গর্তে। এলাকার বাসিন্দা সুমনা মণ্ডল বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এলাকায় নেতারা আসছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু রাস্তা হবে কি না, কেউই বুঝতে পারছি না!” সর্বাঙ্গপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও সর্বাঙ্গপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি নিখিল বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় পেঁয়াজ চাষ হয়। তা পরিবহণ করতে অনেক লরি-ট্রাক এলাকায় আসে। সমস্যায় পড়তে হয় তাদেরও।” নওদার কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান বলেন, “আমি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ওই রাস্তা নির্মাণ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। খরচের হিসাব-সহ বিষয়টিকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।” সর্বাঙ্গপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের শুকদেব কুণ্ডু বলেন, “রাস্তা তৈরি হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।” জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি আরএসপি-র সিরাজুল ইসলাম বলেন, “জেলা পরিষদও চেষ্টা করছে, যাতে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হয়। সমস্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ হবে।”

দাদাকে খুনে গ্রেফতার ভাই
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দাদাকে বলির দা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে বড়ঞা থানা এলাকার টগরা গ্রামের এই ঘটনায় মৃতের নাম জগন্নাথ দাস (৫২)। অভিযুক্ত বলরাম দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথবাবুর বাবা রাধাশ্যামবাবুর বিঘে চারেক জমি রয়েছে। জমি ভাগ করে দেওয়ার জন্য বারবার বাবাকে বলতেন বলরামবাবু। কিন্তু রাধাশ্যামবাবু ও তাঁর স্ত্রী রাজলক্ষ্মীদেবী বড় ছেলে জগন্নাথবাবুর কাছে থাকার জন্য জমি দেখার ভার ছিল জগন্নাথবাবুর উপরই। বুধবার দুপুরে খেত থেকে ধানের বোঝা আনছিলেন জগন্নাথবাবু। তখনই তাঁর উপর দা নিয়ে চড়াও হন বলরামবাবু। শরীরে কোপ মারতে থাকায় কিছুক্ষণের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জগন্নাথবাবু। বলরামবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, “জমি দেখত দাদা। আর বাবা দাদার কাছেই থাকত। তাই আমি জমি ভাগ নিয়ে কথা বললেও বাবা গুরুত্ব দিতেন না। মনে হয়েছিল এর পিছনে দাদার হাত ছিল।” মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দাদাকে খুনের অভিযোগে ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

সন্ত্রাসের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বেলডাঙা-১ ব্লকের কাপাসডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে প্রার্থী দিতে পারল না সিপিএম। তাদের দাবি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাসে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। সিপিএমের বেলডাঙা লোকাল কমিটির সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, “কংগ্রেস ও তৃণমূলের ভয়ে আমরা প্রার্থী দিতে পারিনি।” বেলডাঙার বিধায়ক কংগ্রেসের সফিউজ্জামান বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে সিপিএম-তৃণমূলের বোঝাপড়া হয়েছে। তাই কংগ্রেসকে আটকাতে সিপিএম স্বেচ্ছায় ওই আসনে প্রার্থী দেয়নি।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অন্য দিকে, কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতের একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসনেও দেয়নি সিপিএম।

মারধরের অভিযোগ
তৃণমূলের এক মহিলা প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। বুধবার রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের সম্মতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তাহিরা বিবি নামের ওই প্রার্থীকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে যখন তাহিরা বিবি বাড়িতে রান্না করছিলেন তখন কয়েকজন বাড়িতে হামলা করেন। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলেন, “প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই চাপ দিচ্ছিল সিপিএম। কিন্তু তা না করায় সিপিএমের স্থানীয় প্রার্থীর দলবল ওই মহিলাকে মারধর করে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। এই ঘটনায় আমরা যুক্ত নই।”

দেওয়াল লিখন মোছার নালিশ
তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের উপর কাদা ও গোবর ছেটানোর অভিযোগ উঠল বিরোধী সিপিএমের বিরুদ্ধে। হরিণঘাটার গোয়ালডোব গ্রামের এক সমর্থকের বাড়ির দেওয়ালে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থীর নাম লেখা হয়েছিল। বুধবার সকালে দেখা যায়, দেওয়ালে জুড়ে কাদা ও গোবরগোলা লাগানো রয়েছে। ওই এলাকার তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী চঞ্চল দেবনাথ বলেন, “এলাকায় গণ্ডগোল বাধাতে সিপিএম এই কাজ করেছে।” অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বঙ্কিম ঘোষ বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের জনভিত্তি মজবুত। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে ওই ঘটনা ঘটেছে।”

গুজবে চাঞ্চল্য
জোড়া গুজবে উত্তেজনা ছড়াল রঘুনাথগঞ্জ ও সাগরদিঘিতে। বুধবার সাগরদিঘির বালিয়ায় একটি চায়ের দোকানে সুটকেশ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। সন্দেহ হয়, নির্ঘাৎ বোমা রয়েছে ব্যাগে। দোকানদার ভয়ে কাঁটা। খবর যায় পুলিশে। সুটকেশটি খুলতেই উৎকন্ঠার অবসান। দেখা যায় সুটকেশটি জামাকাপড়ে ঠাসা। অন্য দিকে এ দিনই সাগরদিঘির তালাই গ্রামের একটি ইটভাটা চত্বরে বড় বস্তা পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ এসে বস্তা খুলতে জল্পনার অবসান। হৃষ্টপুষ্ট একটি মরা ছাগল মিলল বস্তার মধ্যে।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
স্কুল যাওয়ার পথে মোটরভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল বছর চারেকের এক শিশুর। নাম বর্ষণ মণ্ডল। বাড়ি বহরমপুরের কোদলায়। বৃহস্পতিবার বহরমপুর-রামনগর রাজ্য সড়কের ঘটনা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.