|
|
|
|
|
যৌথ বাহিনীর খরচ মেটাতে বলল কোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম ও কলকাতা |
|
সরকারি অতিথিশালায় যৌথ বাহিনীর থাকা বাবদ খরচের টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। বকেয়া ২১ লক্ষ টাকা ঝাড়গ্রাম পুরসভাকে দিতে বুধবার রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান সিপিএমের প্রদীপ সরকার বলেন, “বকেয়া টাকার জন্য বহু চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হয়নি। ওই অতিথিশালা থেকে আয় দেখাতে না পেরে অডিটেও সমস্যা হচ্ছিল। বাধ্য হয়েই মামলা করা হয়।” আদালতে পুরসভার আইনজীবী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য টাকা না মেটানোয় পুর-নাগরিকেরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।” বিচারপতি টাকা মেটানোর নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী জানান, দ্রুত নির্দেশ কার্যকর হবে। ‘বনানী’ নামে এই অতিথি নিবাস এক সময় পর্যটকদের প্রথম পছন্দ ছিল। কদমকাননে অতিথিশালাটি চালু হয় ২০০০ সালে। জঙ্গলমহলে অশান্তি-পর্বে ২০১০ সালে ঝাড়গ্রাম শহরে সিআরপি’র সদর দফতর করার প্রয়োজন পড়ে। ওই অতিথিশালায় এখন সিআরপি’র ১৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের হেড-কোয়ার্টার। প্রদীপবাবু জানান, বনানী থেকে পুরসভার বছরে আয় হত প্রায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল, বছরে ৫ লক্ষ টাকা ভাড়া দেবে। কিন্তু তা দেয়নি। পুরপ্রধানের বক্তব্য, “চুক্তি করতে চেয়েছি। পুলিশ আগ্রহ দেখায়নি। অথচ নতুন নলকূপ খনন করতে হয়েছে, ১৬টি শৌচাগার বানাতে হয়েছে। নিয়মিত সাফাই, গাড়িতে অতিরিক্ত জল সরবরাহ, বিদ্যুতের লাইন দেখভাল সবই করতে হয়।” ২০১০-এর এপ্রিল থেকে ২০১২-র জুন পর্যন্ত বকেয়া টাকা আগেই পেয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। প্রদীপবাবু বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে প্রথম পযার্য়ের টাকা জানুয়ারিতে পেয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাড়া ও ২০১২ জুলাই থেকে ২০১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ বাবদ বকেয়া ছিল ২১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৫০ টাকা। বুধবার এই টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছে হাইকোর্ট।”
ঝাড়গ্রামে ১০ একর সরকারি জমি সিআরপি’র স্থায়ী দফতর ও শিবিরের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বনানী থেকে বাহিনী সরানোর দাবি জানান পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান বলেন, “রাজ্য বলছে, জঙ্গলমহল হাসছে। পযর্টকদের স্বার্থে বনানী থেকে সিআরপি সরানো হোক।” |
|
|
|
|
|