তার ছিঁড়ে আবারও ট্রেন বন্ধ হল শিয়ালদহ মেন লাইনে। এই নিয়ে গত এক মাসে মেন লাইনে চার-পাঁচ বার ওভারহেড তার ছিঁড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হল। বুধবার সন্ধ্যায় তার ছেঁড়ে সোদপুর ও আগরপাড়া স্টেশনের মধ্যে। বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দু’টি লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। বাকি দু’টি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয় সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ।
অন্যান্য দিন ঝড়-বৃষ্টি বা প্যান্টোগ্রাফে জড়িয়ে তার ছিঁড়ে যায়। এ দিন অবশ্য আবহাওয়া ভালই ছিল। ঝোড়ো হাওয়াও ছিল না। তা সত্ত্বেও তার ছিঁড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, শিয়ালদহের রক্ষণাবেক্ষণের হাল যে তলানিতে এসে ঠেকেছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।
শিয়ালদহের শুধু মেন লাইন দিয়েই এখন প্রায় ৭ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। এ দিন যখন তার ছেঁড়ে, তখন নিত্যযাত্রীদের অফিস থেকে ফেরার সময়। বিকেল সওয়া পাঁচটা থেকে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে কয়েক হাজার যাত্রী আটকে পড়েন শিয়ালদহ-সহ মেন লাইনের অন্য স্টেশনগুলিতেও। খবর পেয়ে রেলের পদস্থ কর্মীরা টাওয়ার
ভ্যান নিয়ে মেরামতির চেষ্টা করেন। পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দু’টি লাইনে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সাতটা বেজে যায়।
কিন্তু, ট্রেন আধ ঘণ্টা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকা এবং পরে আবার চারটি লাইনের বদলে দু’টি লাইন দিয়ে ট্রেন চালাতে গিয়ে বেশির ভাগ ট্রেনই এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে চলাচল করেছে। ফলে রাতে বাড়ি ফিরতে গিয়ে চূড়ান্ত নাকাল হয়েছেন যাত্রীরা। শিয়ালদহের পাশাপাশি শহরতলির স্টেশনগুলিতেও যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ চারটি লাইন দিয়েই ট্রেন চলাচল শুরু হলে ধীরে ধীরে অবস্থা স্বাভাবিক হয়।
এমনিতেই মেন লাইনের ট্রেনে এখন থিকথিকে ভিড়। তার উপরে এ দিন সব ক’টি ব্যারাকপুর লোকালই বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে ট্রেনে উঠতে গিয়ে ভিড়ের লড়াইয়ে সামিল হতে হয়েছে যাত্রীদের। ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াই কী কারণে ওভারহেড তার ছিঁড়ল, তা জানাতে পারেননি রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের কর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, ‘এটাও যান্ত্রিক ত্রুটি’। |