মুম্বইয়ে বহুতল ভেঙে মৃত ৭ |
মুম্বইয়ের মাহিমে একটি পুরনো পাঁচতলা বাড়ি ভেঙে পড়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল গভীর রাতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৬০টি ইঞ্জিন। আজ সকাল থেকে দমকল কর্মীদের সঙ্গে যৌথ ভাবে উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও অন্তত বারো-তেরো জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে মুম্বইয়ের ভারি বর্ষণে উদ্ধার কাজ চালাতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। এই ঘটনায় আহতরা বান্দ্রার ভাবা হাসপাতাল, কেইএম ও সাইওন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
|
সচিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শুরু মাত্র ১৭ বছর বয়সে। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি সর্বকালের সেরা একজন ব্যক্তিত্ব। তাঁরই মতো ভারতের আরও একজন শুরু করেছেন তাঁর ক্রীড়া জীবনের সোনার দৌড়—১৭ বছরের কিশোর অচিন্ত্য বব্বর। জন্ম থেকেই মূক এই কিশোরের ক্রীড়া জীবনের লড়াইও এগিয়েছে নিঃশব্দে। প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১২ বছর বয়সে জলে নামেন অচিন্ত্য। আর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই সাঁতারে আন্তর্জাতিক খ্যাতি, পদক তাঁর ঝুলিতে আসতে শুরু করে। ২০০৫ সালের স্পেশাল অলিম্পিক ভারত ন্যাশনাল গেমসে জেতেন সোনা। এর পর ২০০৭-এ চিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড সামার গেমসেও সেরার শিরোপা (সোনা) দখল করেন এই অদম্য কিশোর। দিল্লি সরকার রাজীব গাঁধী ক্রীড়া পুরস্কারে তাঁকে সম্মান জানায়। তাঁর ক্রীড়া জীবনের সোনার দৌড়কে সেরার স্বীকৃতি দিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ‘রোল মডেল’ বিভাগে জাতীয় পুরস্কার তুলে দেন অচিন্ত্য বব্বরের হাতে। অচিন্ত্যর লড়াই, তাঁর সোনার দৌড় এখানেই থেমে নেই। এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে...লড়াই এখনও চলছে নিজেকেই অতিক্রম করার।
|
প্লাবিত, বিপর্যস্ত জার্মানি |
বন্যা প্লাবিত জার্মানিতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯। তবে এই সংখ্যাটা এই বন্যার ভয়াবহতা বোঝার জন্য যথেষ্ঠ নয়। জার্মানির ইতিহাসে এই বন্যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ। ২০০২ সালের বন্যাতেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এখানে। তবে এ বারের বন্যায় প্লাবিত এলাকার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে তো বটেই, তথ্য অনুযায়ি তা ২০০২-এর বন্যার চারগুণ বেশি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপক। উত্তর জার্মানির বন্যা কবলিত এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। যুদ্ধকালিন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিশাল সেনা বাহিনী। বন্যা বিদ্ধস্ত এলাকার মানুষদের জন্য পাঠানো হচ্ছে দশ কোটি ইউরোর ত্রাণ সামগ্রী। প্লাবিত এলাকায় জলস্তর কিছুটা নামলেও এখনও তা রয়েছে বিপদ সীমার উপরেই।
|
চুরি যাওয়া পদক ‘কিনতে’ ১০ লক্ষ |
দেশ তখনও স্বাধীন হয়নি। ব্রাহ্মী দেবীর স্বামী কৃপা রাম ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির সেনা জওয়ান। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত হন কৃপা রাম। যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্বের জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করে ব্রিটিশ সরকার। এই ঘটনার পর দীর্ঘদিন কেটে গেছে। স্বামীকে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া মরণোত্তর পদক রক্ষিত ছিল ব্রাহ্মী দেবীর কাছেই। কিন্তু ২০০২ সালে ব্রাহ্মী দেবীর হিমাচল প্রদেশের বাড়ি থেকে সেটি চুরি যায়। ‘পদক কাহিনী’ এখানেই শেষ নয়। ২০০৯ সালে লন্ডনে আয়োজিত একটি নিলামে আবার দেখা মেলে ১৯৪৫-এ শহিদ ভারতীয় সেনার সেই পদকের। নিলাম হয়েই যেত, বাধ সাধল ভারতীয় হাই কমিশন। ডাক পড়ল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের। অবশেষে লন্ডনে দুই পক্ষের জটিল আলোচনায় মেলে আইনী সমাধান সূত্র। কী সেই সমাধানের উপায়? ভারতীয় মূল্যে ১০,০০০০০ টাকার বিনিময়ে ব্রাহ্মী দেবী ফিরে পেতে পারেন তাঁর স্বামীর সেই ‘মহামূল্য’ পদক। ৮০ বছরের বৃদ্ধা কী খুশি এই সমাধানে? নাকি চিন্তিত টাকা জোগাড়ের জন্য....কে জানে!! |