হুমকি দিয়ে ইন্দাস ও পাত্রসায়রে সিপিএমের কয়েকজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
পাত্রসায়র পঞ্চায়েতের ১৩৪টি এবং পঞ্চায়েত সমিতির ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি পঞ্চায়েত আসনে এবং জেলা পরিষদের দু’টি আসনে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছিল। জেলা পরিষদে পাত্রসায়র দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী ছিলেন মীরারানি দে। এ দিন তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে গাড়িতে বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসকের অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল সম্পাদক লালমোহন গোস্বামী। চেষ্টা করেও অবশ্য মীরারানিদেবীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের হুমকিতে ইন্দাস ব্লকে তাঁদের ১২ জন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ও ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিডিও, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাসের অভিযোগ, “তৃণমূল কর্মীদের লাগাতার হুমকি, শাসানিতে ভয় পেয়ে ইন্দাস-১ ও ২, আমরুল, করিশুণ্ডা, রোল ও দীঘলগ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ জন প্রার্থী এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৩ জন প্রার্থী এ দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকী করিশুণ্ডা পঞ্চায়েতের পাহাড়পুর বুথের প্রার্থী শেখ সেলিমকে সাদা কাগজে সই করিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চেষ্টা করেছে তৃণমূলের লোকেরা।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিপিএমের এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর অভিযোগ, “গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের লোকেরা বাড়িতে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপাচাপি করছে। তা না হলে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিচ্ছিল। ভয়ে তাই মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়েছি।’’ ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক গুরুপদ মেটে ও তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়দের দাবি, “আমাদের দলের কেউ সিপিএম প্রার্থীদের হুমকি দেয়নি। হার নিশ্চিত বুঝেই ওদের অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।” ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন, তাঁদের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। তাঁরা কোনও অভিযোগ করেননি।” অন্য দিকে, সোমবার বিকেলে পুরুলিয়ার বরাবাজারের বামুনডিহা গ্রামে সিপিএমের মিছিলে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ৪-৫ জন সিপিএম কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ। তৃণমূল সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার দাবি জানিয়েছে। |