দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান করলেও এখন দু’দলের সমস্যা একই। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ায় তৃণমূল ও সিপিএম তথা বামফ্রন্টের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন গোঁজ প্রার্থীরা। আজ সোমবার, মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। তার আগে রবিবার জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মণীন্দ্র গোপ ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো সাংবাদিক বৈঠক করে গোঁজ প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য নিজেদের কড়া মনোভাবের কথা জানিয়ে দিলেন।
গোঁজ প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিল পুরুলিয়া জেলা বামফ্রন্ট। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মণীন্দ্র গোপ বলেন, “বামফ্রন্টের নেতারা বসে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে কত আসনে লড়বে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই বোঝাপড়ার বাইরে যেখানে যাঁর প্রার্থী রয়েছে, তাঁরা সোমবার তা প্রত্যাহার করে নেবেন বলে বামফ্রন্টগত ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” আজ সোমবার, প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হতে চলা পুরুলিয়া-সহ ন’টি জেলায় প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। তার দু’দিন আগে শনিবার বিকেলে পুরুলিয়ায় গোঁজ প্রার্থীদের ঠেকাতে বৈঠকে বসেন জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
প্রসঙ্গত পুরুলিয়ার ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৪৪টি আসনের মধ্যে সিপিএমের ১৮২৭ জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ৪১৪ জন, সিপিআইয়ের ৪৫ জন এবং আরএসপি-র ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পঞ্চায়েতের মোট আসনের তুলনায় অতিরিক্ত মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩৫১টি। ২০টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৪৬টি আসনের মধ্যে সিপিএমের ৪২২ জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ৮৬ জন, সিপিআইয়ের ৮ জন এবং আরএসপি-র ১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে মোট আসনের তুলনায় ৭১ জন অতিরিক্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পুরুলিয়ায় জেলা বামফ্রন্টের এই অনৈক্য দূর করতে বার বার বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু পুরুলিয়ায় বামফ্রন্টের কর্মিসভায় এসে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়ে যান, বামফ্রন্টে জোট বজায় রাখতেই হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের জন্য তৃণমূলের পক্ষে ৬২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রবিবার বিকেলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সাংবাদিকদের হাতে দলের মনোনীত ৩৮ জন জেলা পরিষদের প্রার্থী নামের তালিকা তুলে দেন। তিনি বলেন, “ওই ৩৮ জন বাদে বাকিদের মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বলা হয়েছে।” |