বেআইনি ভাবে আধার কার্ড বিলি করার অভিযোগে কংগ্রেসের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ও তাঁর তিন সঙ্গীকে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের এক দলছুট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত কংগ্রেস প্রার্থী তারাপদ মাঝি রমাকান্তপুর গ্রামে কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্য তিন জন হলেন প্রাক্তন প্রধান লালচাঁদ মণ্ডল, পিন্টু মণ্ডল ও শ্রীমন্ত মাঝি। উদ্ধার করা হয়েছে ১০৮৮টি আধার কার্ড। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আধার কার্ডগুলি ডাকঘর থেকে গ্রামে বিলি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হয়ে অভিযুক্তেরা নিজেরাই সেগুলি বাড়ি বাড়ি বিলি করছিলেন। ডাকঘরে আসা আধার কার্ডগুলি কী ভাবে ধৃতদের হাতে গেল? মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের ডাক বিভাগের সুপারিনটেন্ডেন্ট জগন্নাথ বিশ্বাস বলেন, “ডাকঘরে আসা আধার কার্ড ডাক পিওনের বিলি করার কথা। তা না হয়ে এটা কী ভাবে ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে।” রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও বুদ্ধদেব দাসও জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে আধার কার্ড বিলির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দিব্যচরণ শুক্ল দাবি করেছেন, “কংগ্রেস নেতারা ডাকঘর থেকে কার্ডগুলি হাতিয়ে রবিবার সকাল থেকে তা বিলি করছিলেন।” তাঁরা তখন বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেন। রঘুনাথগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক আখরুজ্জামান পাল্টা অভিযোগ করেছেন, “ডাকযোগে আসা কার্ডগুলি পিওন বিলি না করে কিছু লোকের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন। সেগুলি সিপিএম কর্মীরাই এতদিন বিলি করছিলেন। কংগ্রেস এ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ জানিয়েছিল। এ দিন ধৃত কংগ্রেস কর্মীদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।” |