ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তাড়া খেয়ে ফের পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে ঘাঁটি গাড়ছে মাওবাদীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, মাওবাদীদের জনা ৪৫-এর একটি দল এ রাজ্যে ঢুকেছে। তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচ জন বেশ দরের নেতাও রয়েছেন। সম্প্রতি মহাকরণে এমনই রিপোর্ট পাঠিয়েছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা।
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়ে সাম্প্রতিক মাওবাদী হানার পর বিভিন্ন মাওবাদী উপদ্রুত রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার পরেই জঙ্গলমহলে কর্মরত রাজ্যের গোয়েন্দারা একটি রিপোর্ট মহাকরণে স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই শাসক দলের কয়েক জন বিধায়ক-নেতার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে?
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দাপটে মাওবাদীদের দলটি বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম হয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছে। তার পর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরুলিয়ায় মাওবাদী সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন রঞ্জিত পাল ও হলধর গড়াই। মদন মাহাতো ও জবা মাহাতো রয়েছেন বেলপাহাড়িতে। জয়িতা মাহাতো কাজ করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনিতে। লালগড়ের দায়িত্বে আকাশ ও তারা। বাঁকুড়ায় সংগঠন দেখভাল করছেন বিকাশ। গোয়েন্দাদের দাবি, কিষেণজি মারা যাওয়ার পর জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। এখন ফের তাঁদের তৎপরতা নতুন করে চোখে পড়ছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল, বেলিয়াবেড়া, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, কেশিয়ারির মতো কয়েকটি থানায় এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। এর ফলে ওই এলাকায় মাওবাদীরা সংগঠন বাড়ানোর কাজে সুবিধা পাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই এলাকায় মাওবাদীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ফের প্রচার চালাচ্ছে। |