|
|
|
|
প্রশ্ন তৃণমূলেই |
মন্ত্রী বাদে দলের ৬ নেতার জন্য ‘জেড ক্যাটিগরি’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
জঙ্গলমহলে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের উপরে মাওবাদীরা হামলা চালাতে পারে বলে রাজ্যকে সতর্ক করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু সেই তালিকায় নাম থাকা শাসকদলের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার জন্য এখনও ‘জেড ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূলের অন্দরে।
এ নিয়ে জল্পনার মাত্রা বেড়েছে, কারণ দিন দু’য়েক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের চার তৃণমূল বিধায়ক-সহ দলের ছয় নেতাকে ‘জেড ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা প্রথম থেকেই ‘ওয়াই-প্লাস ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা পান। ঘনিষ্ঠ মহলে মন্ত্রীর অনুগামীদের ক্ষোভ: সুকুমারবাবু যেহেতু তৃণমূলের সাংসদ তথা রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতির ঘনিষ্ঠ, তাই অন্য গোষ্ঠীর প্রভাবে ‘জেড ক্যাটিগরি’র তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়েছে।
শনিবার বিষয়টি জানার পরে সুকুমারবাবু ঘনিষ্ঠদের কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বলেও তৃণমূল সূত্রের খবর। তবে মন্ত্রী এ দিন বলেন, “এটা পুলিশের ব্যাপার, আমি কী বলব। জনগণই আমার রক্ষা-কবচ।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ও এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে পুলিশ জেলা রয়েছে দু’টি। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার এলাকায় গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্তকে ‘জেড ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ-এলাকায় শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়কেও একই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ওই নেতা-বিধায়কদের বাড়িতেও সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
পুলিশের বক্তব্য, গোয়েন্দা দফতরের সুনির্দিষ্ট রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই ছ’জনকে ‘জেড ক্যাটিগরি’র নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
|
ঝাড়গ্রাম-কাণ্ডে গ্রেফতার চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সাবিত্রী সরকার নামে এক বৃদ্ধার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় আরও চার তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের বালিভাসা এলাকার এক ধাবা থেকে রাহুল মুখোপাধ্যায়, বাপি দাস, পরেশ ঘোষ ও তাপস দাস নামে চার অভিযুক্তকে ধরা হয়। তারা ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা। গত ২৮ মে জমির দালালিতে যুক্ত তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত গৌরাঙ্গ প্রধানের অনুগামীরা সাবিত্রীদেবীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। ৩০ মে গৌরাঙ্গ প্রধানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাকি ছয় অভিযুক্ত ওই ঘটনার পরেই ফেরার ছিল। আজ রবিবার, ধৃতদের ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করানো হবে।
|
পুরনো খবর: জমি না পেয়ে বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা |
|
|
|
|
|