আবারও বন্দুকবাজের নিশানায় আমেরিকা। ক্যালিফোর্নিয়ার সৈকত শহর সান্টা মনিকায় শুক্রবার সকালটা শুরু হয়েছিল ভাল ভাবেই। কিন্তু দুপুর গড়াতে না গড়াতেই যেন লন্ডভন্ড হয়ে গেল সব কিছু। বন্দুকবাজের বয়স বড়জোর ২৫ থেকে ৩০-এর কোঠায়। তার এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের গুলিতে ঘায়েল হয়েছে বন্দুকবাজ নিজেও।
সারা শরীর কালো পোশাকে ঢাকা, কোমরে গুলি ভর্তি বেল্ট আর তার উপরে চাপানো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট। হাতে ধরা অ্যাসল্ট রাইফেল। তার ওই বন্দুকের গুলিই প্রথমে ঝাঁঝরা করে দেয় ইয়র্কশায়ার অ্যাভিনিউয়ের এক বাড়ির দুই বাসিন্দাকে। তাঁরা বন্দুকবাজের বাবা ও ভাই বলে সন্দেহ করা হলেও এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি পুলিশ। গুলি চালনার পরই অবশ্য আগুন ধরে যায় বাড়িটিতে। |
ধৃত দ্বিতীয় সন্দেহভাজন। ছবি: এপি |
সেখান থেকে রাস্তায় বেরিয়ে এসে গাড়ি ছিনতাই করে ওই যুবক। সে সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক মহিলা। তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সান্টা মনিকা কলেজের রাস্তা ধরার নির্দেশ দেয় সে। যাত্রাপথে যে সমস্ত গাড়ি, বাস পড়েছে কোনও কিছুই বাঁচতে পারেনি তার আক্রমণের হাত থেকে। কলেজে তাণ্ডবের খবর পেয়ে পুলিশ এসে পৌঁছনোর আগে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় কলেজেরই আরও এক জনের। শেষে লাইব্রেরিতে পুলিশের সঙ্গে গুলি যুদ্ধে মারা যায় বন্দুকবাজ যুবক।
কলেজের কর্মী ট্রেনা জনসন জানিয়েছেন, গুলির আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখেন, লাইব্রেরির দিকে যেতে যেতে এক মহিলার মাথা তাক করে সোজা গুলি চালিয়েছে ওই যুবক। ট্রেনার কথায়, “ভয়ে থরথর করে কাঁপছিলাম। হাজার চেষ্টা করেও নিজের কাঁপুনিটা থামাতে পারছিলাম না।” সান্টা মনিকার পুলিশ প্রধান জ্যাকলিন সিব্রুকস জানিয়েছেন, বন্দুকবাজের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কী কারণে এই হামলা, ধোঁয়াশা রয়েছে তা নিয়েও। পুলিশের সন্দেহ, গোটা ঘটনার পিছনে অন্য কারোর হাত রয়েছে।
|
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। গত সাত মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যান্ডেলার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল। টানা ন’দিন হাসপাতালে থাকার পর এপ্রিলের শুরুতেই বাড়ি ফিরেছিলেন ৯৪ বছর বয়সী ম্যান্ডেলা। যদিও বারে বারেই ফিরে আসছে সংক্রমণ। “শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎ অবস্থা খারাপের দিকে গড়ায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গেই”, এ দিন জানিয়েছেন সরকারি মুখপাত্র। |