তৃণমূলের টিকিট বিলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বাঁকুড়ায় খাতড়া মহকুমার দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে মারপিট হল। ওই ঘটনায় চার জন জখম হন বলে দল সূত্রের খবর। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতারা এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
বাঁকুড়া শহরের লালবাজারের একটি হোটেল থেকে এ দিন তৃণমূলের প্রার্থীদের টিকিট বিলি করার কথা ছিল। খাতড়ার তৃণমূল নেতা জয়ন্ত মিত্রের অভিযোগ, “আমি হোটেল চত্বরে গাড়ি থেকে নামতেই খাতড়ায় দলের অন্য নেতা শ্যামল সরকারের অনুগামীরা আমার উপর চড়াও হয়। দলের অন্য কিছু কর্মী আমাকে বাঁচাতে এলে হামলাকারীরা তাদের মারধর করে। চার জন জখম হন।” শ্যামলবাবু অবশ্য হামলার অভিযোগ মানতে চাননি। |
টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র |
অন্য দিকে, অন্যদিকে বাঁকুড়া ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য গৌতম বাদ্যকরকে এ বার দলের তরফে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য টিকিট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে এ দিন দুপুরে বিকনায় ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মীরা। নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের বিকনা অঞ্চল সভাপতি তাপসকান্তি দে। তাপসবাবুর অভিযোগ, “গৌতম গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছিলেন। তাঁকে টিকিট না দিয়ে দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ তাঁর গোষ্ঠীর অযোগ্য লোককে টিকিট দিয়েছেন। এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখানো হয়।” তিনি দাবি করেন, গৌতমবাবু-সহ আরও কিছু তৃণমূল কর্মী নির্দল হয়ে লড়বেন। যদিও এই সব ঘটনা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা কো-চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, “কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সুষ্ঠু ভাবেই টিকিট বন্টন চলছে।” |