নিখোঁজ রোগীর দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খাল থেকে উদ্ধার হল সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক রোগীর মৃতদেহ। শুক্রবার, রিজেন্ট পার্ক থানার করুণাময়ী ব্রিজের কাছে একটি খাল থেকে দেহটি মেলে। পুলিশ জানায়, মৃত রঞ্জিত সরকার (৬০) নেতাজিনগরের বাসিন্দা। বুধবার তিনি বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখান থেকে নিখোঁজ হন রঞ্জিতবাবু। তাঁর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শুক্রবার খবর পেয়ে খাল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। পুলিশের অনুমান, খালের ধার দিয়ে যাওয়ার সময়ে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। এই ঘটনায় হাসপাতালে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন অন্য রোগীদের আত্মীয়েরা। কী ভাবে একজন রোগী ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েছেন হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষের যুক্তি, এটা মানসিক হাসপাতাল নয়, সাধারণ হাসপাতাল। বিভিন্ন ধরনের রোগীর মারাত্মক চাপ সামলাতে হয় তাঁদের। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সংখ্যা কম থকায় প্রত্যেক রোগীকে ২৪ ঘণ্টা চোখে-চোখে রাখা অসম্ভব। তার উপর মানসিক অবসাদগ্রস্তদের আলাদা যত্ন-দেখভাল দরকার হয়, সেটাও দেওয়া সম্ভব হয় না।
|
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে একটি চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যেরা শুক্রবার রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। গোপন ব্যালটে ভোটের দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সব ভোটারের কাছে ব্যালট পেপার পৌঁছনোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। এর আগে রোগী-স্বার্থে কাজ করা একটি সংগঠনের তরফে এই বিষয়েই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা দায়ের করা হয়। প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হয়েছে।
|
পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল আট সদ্যোজাতের। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যের ঘটনা। হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, “ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জন্মানো চার শিশুকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। এই হাসপাতালে জন্মানো অন্য চার জনের মধ্যে দু’জনের মস্তিক তৈরি হয়নি। বাকিদের ওজন খুব কম ছিল।” |