জখম সংক্রান্ত ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’ সময়ে আদালতে না পাঠানোয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ দাসকে ভর্ৎসনা করে সতর্ক করলেন মালদহের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশিস বিশ্বাস। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে। আদালত সূত্রের খবর, ক্ষমা চেয়ে ও পরে সময় মতো সঠিক ভাবে রিপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেহাই পান ডেপুটি সুপার। এ দিন মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্যে যা স্পষ্ট হয়েছে তা হল, আসামিদের নিয়ে পুলিশ অফিসারেরা হাসপাতালে গেলে সময় মতো চিকিৎসকদের পান না। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চিকিৎসকদের পাওয়ার পরে তাঁরা ‘ইনজুরি রিপোর্ট’ দিচ্ছেন সে রিপোর্টে পুরো সই করছেন না। নিজেদের নাম লিখছেন না। কোথায়, কী কারণে, কীসের মাধ্যমে জখম হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে না। ৩০ মে ডিস্ট্রিক্ট মনিটারিং মিটিংয়ে জেলা ও দায়রা জজ, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, চিকিৎসকেরা সময়মত সঠিক ভাবে পুরো সই করে রিপোর্ট দেবেন। তার পরেও তা হচ্ছে না। তিনি বলেন, “এ দিন মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপারকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সহকারি আইনজীবী দীপেন কুমার চৌধুরী বলেন, “মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মেডিক্যাল কলেজ ডেপুটি সুপারকে ভৎসর্না ও সতর্ক করে ছেড়ে দেন।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ দাস বলেন, “আমি রিপোর্ট দিইনি। মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের হয়ে আদালতে যাই। বিচারক আমাকে সতর্ক করেছে। বিষয়টি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপালকে বলব।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিধান মিশ্র জানান, জেলায় মনিটারিং মিটিঙের পর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলার সব বিএমওএইচদের সমস্ত কিছু জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বার বার বলে দেওয়ার পরেও যদি চিকিৎসকেরা নির্দেশ না মানে তা হলে মুশকিল। আগামী ১১ জুন জেলার সমস্ত বিএমওএইচদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, সময়মত ইনজুরি রিপোর্ট না মেলায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। |