|
|
|
|
ডাকঘর |
|
হারিয়েছে ‘স্বস্তিক’ |
জামাইষষ্ঠীর আগে রাঢ় বাংলার ঘরে ঘরে বেশ কিছু দিন ধরে প্রস্তুতি পর্ব চলত। উনুনে দুধ মেরে মেরে ‘চাঁছি’ তৈরি করে রাখা হত। ষষ্ঠীর আগের দিন সন্ধ্যাই ওই চাঁছি দিয়ে বিশেষ ছাঁচে ‘স্বস্তিক’ নামের এক প্রকার মিষ্টি তৈরি করা হত। ওই মিষ্টান্নষ্টি বাড়ির ছেলেমেয়েদের প্রত্যেকের ‘বাঁটো’তে দেওয়া হত। জামাই বাড়িতে তত্ত্ব পাঠানোর জন্য ‘স্বস্তিক’ নামের ওই মাঙ্গলিক মিষ্টান্ন অপরিহার্য ছিল। মেয়ের বাড়ির আভিজাত্য ও রুচিশীলতা প্রমান করত তত্ত্বে পাঠানো মিষ্ঠান্ন ‘স্বস্তিক’-এর সৌন্দর্য ও পরিমানের উপর। ওই মিষ্টান্ন ভ্রাতৃ দ্বিতীয়াতেও অপরিহার্য ছিল। নিজেদের বাড়িতে যথেষ্ট পরিমানে ‘ছাঁচ’ না থাকলে প্রতিবেশীদের বাড়িতে থেকে ধার করে এনে ‘স্বস্তিক’ মিষ্টান্ন তৈরি করে তত্ত্ব সাজানো হত। গ্রামের মহিলারা ভাঙা পাথর, বাটি, থালা শানের উপর ঘষে বিভিন্ন আকার দিতেন। তারপর ওই ভাঙা পাথর, বাটি, থালায় নরুণ দিয়ে খোদাই করে সুন্দর সুন্দর লতাপাতা, জ্যামিতিক নকশা ইত্যাদি ফুটিয়ে তুলতেন তাঁরা।এঁদের কারও শিল্প বিষয়ে শিক্ষা তো দূরের কথা অক্ষর পরিচয়ও ছিল না। ওই সব সুগৃহিনী, সুনিপুনা মহিলাদের দেড়-দু’শো বছর আগের শিল্পকলার কিছু নুমনা দেখলে বোঝা যায় তাঁরা কতটা শিল্পনিপুনা ছিলেন। এখন সে সব স্মৃতি মাত্র।
কৃত্তিকারঞ্জন সিংহ, বহরমপুর
|
জবরদখল |
গত ২৪ মে নদিয়া-মুর্শিদাবাদ পাতায় প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন কৃষ্ণনগর কোর্ট পোস্ট অফিসের পাচিল ধরে ঝুলে ঝুলে জল-কাদা এড়িয়ে রাস্তা পারাপারের চেষ্ট করছেন। ওই রাস্তাটি দিয়ে গেলে পুলিশ সুপারের অফিস, ডিআইবি, ডিইবি-র অফিস পড়বে। ফলে বহু মানুষ প্রতিদিন তাঁদের প্রয়োজনে এখানে আসেন। পুলিশ সুপারের বাংলার বিপরীত দিক থেকে রেজিস্ট্রি অফিসের দিকে যাওয়ার রাস্তার মোড়টিতে একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলের খুব অসুবিধা হয়। ওই রাস্তার পাশেই আরও একটি রাস্তা রয়েছে যেটি কোর্ট পোস্ট অফিস ও অফিসার্স ক্লাবের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে। ওই রাস্তাটি বেশ উঁচু। কিন্তু সেই রাস্তাটির উভয় মুখ জবরদখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দু’টি দোকানঘর। প্রশাসন ও পুরসভা উদ্যোগী হয়ে ওই রাস্তাটির উভয় মুখে জবরদখল মুক্ত করলে বর্ষাকালে অন্তত জলকাদা মাড়িয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে, রেজিস্ট্রি অফিসে ও অন্য অফিসগুলিতে যেতে হবে না। উল্লেখ্য, ওই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বহু বার গণস্বারিত চিঠি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুরপ্রধান-সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে সমস্যার সমাধানে তাঁরা কেউই কোনও রকম পদক্ষেপ করেননি। বিষয়টি আমজনতার কাছে রহস্যাবৃত।
নিরঞ্জন পাল, কৃষ্ণনগর |
|
|
|
|
|